পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খৃষ্টান পদূরীগণ శివ) “এই গীর্জ দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়ী রাজা সভাসদের এক প্রকাও দল লষ্টয়া আমাদের নিকট আসিলেন এবং গীর্জার সাজ সজ্জা দেখিয়া অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। খুব ভক্তির সহিত গীর্জা-ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং যখন প্রধান চ্যাপেলটির নিকট আসিলেন, তখন জুতা খুলিয়া ফেলিলেন। তাছার জন্য একথান চেয়ার আগে হইতে প্রস্থত রাখা ছিল, কিন্তু আমরা কিছুতেই তাহাকে তাহাত বসাইতে পারিলাম না, এমন কি, কাপেটেও নহে। তিনি শুধু সিড়ির উপর একখান ছোট মাদুরে বসিলেন এবং সেখানে অনেকক্ষণ ধরিয়া কথাবাৰ্ত্ত বলিতে লাগিলেন। গীর্জার বেদীর উপর যে সব দুর্লভ দ্রব্য ছিল, এবং অন্তান্ত জিনিস যাহা দেখিলেন, তাহ সম্বন্ধে আমাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন। আর আমাদিগকে একটি পাথরের গীজ নিৰ্ম্মাণ করিতে অনুমতি দিলেন, যাহা বঙ্গদেশের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ সুন্দর হইবে * * কিন্তু সে পাথরের গীর্জা আর প্রস্তুত হয় নাই। তবে অল্প সময় মধ্যে যে ইষ্টক-রচিত গীজ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাঙ্গও খুব সুন্দর ছিল বলিয়া জানা যায় । উছার গঠন-কৌশল অপেক্ষা সাজসজ্জার পারিপাট্য যে বেশী ছিল, তাহা মিশনরীদিগের কথা হইতে বুঝা যায়। ১৯•• খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ার গীর্জা গোলা হইল, সে দিন প্রতাপাদিত্য দেখিয়া গেলেন। “পরদিন রাজপুত্র + গীর্জার সাজসজ্জা দেখিতে আসিলেন। ইহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানে যন্ত হিন্দু, ছোট হউক বড় হউক, গীর্জা দেখিয়া গেল, কারণ ইহার জাকজমকের খ্যাতি সৰ্ব্বত্র প্রচারিত হইয়াছিল। প্রত্যহ হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হইত। পনের দিনের ৰেণী ধরিয়া এইরূপ হইতে লাগিল।” ; সে সুন্দর গীর্জা আর নাই। বর্তমান ঈশ্বরীপুরের উত্তর পূৰ্ব্বকোণে যুধিষ্ঠির সর্দারের ভিটা বাড়ীর পার্শ্বে জঙ্গলের মধ্যে শু,পক্কত ইষ্ট৯ রাশি এক্ষণে তাহার স্থান নির্দেশ করিয়া দেয় মাত্র । লোকে সে জঙ্গল কাটিতে চায় না, কাটিতে গিয়া কে নাকি নিৰ্ব্বংশ হইয়াছিল। ভয়ে কেহ নিকটে বাস করিতেও চায় না। গীর্জার সংলগ্ন প্রশস্তক্ষেত্রে প্রাঙ্গণ ও সমাধিস্থান ছিল। ঐ

  • Du jarric's “Histoire &c” p. 832-34 ("wit" + *HRİN Mã*ttaq wystw)

এই রাজপুত্র যে উদ্বরাদিত্য, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। * অধ্যাপক যন্ত্রনাথের জম্বুবাদ, প্রবাসী ১৩২৮, জাষাঢ়, ৩২৩ খৃঃ।