পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स*ांश्ङ्ग-ब्रांछब३* 80% আসিয়াছিলেন, পরে মগের উৎপাতে উৎকৃল গ্রামে উঠিয়া যান। এই থানপুরের নিকটে কত সময়ে কত যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহ বলা যায় না। এখনও ঘোষের হাটের উত্তরে "রণভূম” গ্রাম, পার-মধুদিয়ার পশ্চিমে “রণজিৎপুর" স্থান এবং পীলজঙ্গের সন্নিকটে “বশের মাঠ" নামক প্রাস্তর প্রাচীন রণ-কাহিনীই স্মরণ করাইয়া দেয়। রমাকান্ত এই থানপুরের বাট ইষ্টতে সপরিবারে যশোহর যান, কিন্তু চাদ রায় ভ্রাতাকে রাজ্যাংশ দিলেন না ; অধিকন্তু যশোহরের সন্নিকটে, এমন কি, আধারমাণিকে গুরুবংশের আশ্রয়েও বাস করিতে দেন নাই । তখন বর্তমান সাতক্ষীরার অন্তর্গত ফতুলাপুরের জমিদার বাঁশদহনিবাসী মন্দকিশোর রায় চৌধুরী তাহাকে আশ্রয় দেন। নন্দকিশোর বিন্‌ গুইবংশীর ১৮শ পুরুষ এবং বাক্স সমাজের অধিনায়ক ছিলেন । এই সময়ে পুড়া-খোড়গাছি, বঁাশদহ, শিবহাটি প্রভৃতি গ্রামগুলি ইছামতীর একটি শাখার উপর অবস্থিত সুন্দর স্থান ছিল। মুরউলা খার মূরনগর ত্যাগ করিবার পর নীলকণ্ঠের পুত্র মুকুন্দদেব সেই অঞ্চলে কোথাও গিয়া বাস করিবার জন্ত উদ্যোগী হন। তখন পুড়া, খোড়গাছি প্রভৃতি স্থানের বঙ্গজ কায়স্থগণ বিশেয অনুরোধ করিয়া তাঙ্গকে লইয়৷ খোড়গাছিতে বসতি করান। তদবধি নয় আনা অংশের রাজধানী খোড়গাছিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেওয়ান রামভদ্র রায়ের পুত্র রুদ্রদেব নানাস্থানে বাস পরিবর্তন করিয়া অবশেষে বৃদ্ধ বয়সে পুড়ায় আসিয়া বাস করেন। মুকুন্দদেব ও রমাকান্তের বাস-গৌরবে উৎসাহিত হইয়া রুদ্রদেব পুড়-খোড়গাছি অঞ্চলে বঙ্গজ কায়স্থের এক প্রধান সমাজ স্থাপন করেন, তাহার সমাজপতি বা গোষ্টিপতি ইষ্টলেন মুকুন্দদেব এবং নায়েব গোষ্টিপতি হইলেন রুদ্রদেব রায়। ইহাতে আর এক গোলমাল বাধিল । এতদিন টাকার বড় চৌধুরী বংশীয় জমিদারগণই নায়েব গোষ্টিপতি ছিলেন ; রুদ্রদেবের অভু্যদয়ে তাহারা প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া সাত মানী তরফের তামসুন্দধের বংশধরগণকে গোষ্টিপতি নিৰ্বাচিত করিয়া নিজেরা নায়েব গোষ্টিপতি হইলেন। এইরূপে যশোর-রাজ্যের মত যশোহরসমাজও দ্বিধা বিভক্ত হইয়া পড়িল। উত্তরকালে বহরমপুরের সেনবংশীয় দেওয়ান কৃষ্ণকান্ত টাকার বড় চৌধুর্যবংশীয় স্বনামখ্যাত রামকান্ত মুন্সীর সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে গিয়া বহু অর্থব্যয়ে নায়েব গোষ্টিপতি হন, তখন রামকান্তী