পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 ર যশোহর-খুলনার ইতিহাস পরিখা ছিল না, সেই দিকেই ছিল সদর তোরণ। দুর্গটির চারিধার নাকি প্রাচীর বেষ্টিত ছিল। কিন্তু এখন তাহার বিশেষ চিহ্ন নাই। কিল্লাবাড়ী ঘে রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্রে স্বরক্ষিত ছিল, তাহার প্রমাণ আছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বেও এখানে তিনটি বড় কামান পড়িয়াছিল, উহার একটি মাত্র আছে। অপর দুইটি যশোহরের ম্যাজিষ্ট্রেট বোফোর্ট সাহেব ( Mr. Baufort ) লইয়া যান ( ১৮৫৪)। উহার একটি দ্বারা তিনি কয়েদীদিগের জন্ত বেড়ী প্রস্তুত করেন এবং অপরটির দ্বারা রাস্ত মেরামতের রোলারের কার্য্য করাইয়া লইয়া অবশেষে তাঙ্গ জনৈক ভদ্রলোকের নিকট তিন টাকা মুলে বিক্রয় করিয়া ফেলেন। * এইরূপ বুদ্ধিমান লোকের সুব্যবস্থায় আমাদের অনেক প্রাচীন কীৰ্ত্তিচিহ্ন উড়িয়৷ গিয়াছে। যে ভদ্রলোক কামানটি খরিদ করেন, তিনি কে বা উহা দ্বারা কি করিয়াছিলেন, জানিতে পারি নাই। যেটা এখনও দুর্গের ভিতর অল্প জঙ্গলের মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছে, উহারই ছবি দিলাম। উহার দৈর্ঘ্য ৫ - ৫% ইঞ্চি এবং নলের ভিতরের ব্যাস ৫“ইঞ্চি মাত্র। একটি মাত্র ভগ্ন অট্টালিকা দুর্গ-বাটীর শেষ নিদর্শন রাখিয়াছে। ওয়েষ্টল্যাণ্ড বুঝিয়াছিলেন যে, সেটি হাবস্থিানা বা কয়েদীদিগের বাসগৃহ। আমরা তাহা বিশ্বাস করি না। প্রকৃতপক্ষে ইহা স্নানাগার সম্বলিত বাসগৃহ । আমীর ওমরাহের বাসগৃহে সৰ্ব্বত্রই এইরূপ হানামখানা বা মানের স্থান সংযুক্ত থাকিত। এমন হাহামখানা ঈশ্বরীপুরে আছে, জাহাজঘাটায় আছে, তাহ আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি। দুঃথের বিষয় গৃহের মধ্যে কূপ দেখিলেই লোকে উহাকে কয়েদীনিৰ্য্যাতনের ব্যবস্থা বলিয়া সন্দেহ করে, ওয়েষ্টল্যাণ্ড সাহেবও তেমন ভুল কেন করিলেন, বুঝিয়া পাই না। এই গৃহটি পূৰ্ব্বপশ্চিমে দীর্ঘ। পশ্চিম প্রান্তের ঘরটির দক্ষিণ ও পশ্চিমে .প্রবেশদ্বার, উহার মাপ ১৮–৮ x ১৮ ; পরবর্তী স্নান-গৃহটি ১৮–৮× × ১৭%, তাহার পশ্চিমে পাশাপাশি উত্তর দক্ষিণে দুইটি BB DD SBBB SAAAAA SAAAAAS BBD AAAA SSSSSS BBB দুইটি উচ্চ চৌবাচ্চ ছিল, তাহাতে পার্শ্ববৰ্ত্তী ইষ্টকগ্রথিত ৯ ফুট বিস্তৃত বৃহৎ ইন্দির হইতে জল তুলিয়া সঞ্চিত রাখা হইত। প্রত্যেক চৌবাচ্চ হইতে চারি পাঁচটি নল দ্বারা জল বাহির হইত, সে নল এখনও আছে। স্নান-গৃহে • Westland's Report p. 39. -----