পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

赛 8ԳՀ যশোহর-খুলনার ইতিহাস প্রবর্তিত “চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের” নূতন নিয়মানুসারে সমস্ত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় বঙ্গের বহু জমিদারী প্রকাগু নিলামে বিক্রীত হইতে থাকে। গোবিনদেব রায়ের তিন আনী অংশ প্রথম ১৮০০ অবে নিলাম হয় ও পরে বহু হাত বদলাইয়া, উহা ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে নড়াইলের বাবুদিগের অধিকারে আসে । বড় রাজা মহেন্দ্র দেবেরও নানাবিধ খামখেয়ালী অপব্যয় ও অযত্নে তাহার (৮৮ গও অংশও নিলামে চড়ে, এবং তাহাও ক্রমে নড়াইলের বাবুরা খরিদ করিয়া লন। কেবল মাত্র রামশঙ্করের ly৮ অংশ তাহার অধিকারে থাকে এবং তিনিই মাত্র রাজা বলিয়া পরিচিত হন । মহেন্দ্র ও গোবিন্দদেব রায়ের বংশধরগণ রাজাহার হইয়া রাজ উপাধিতেও বঞ্চিত হন। এখন তাহাদের ংশধরগণ কেবল মাত্র সামান্ত দেবোত্তর ও বৃত্তি-সম্পত্তির উপর নির্ভর করিয়া বহু পরিবারে নির্জীবভাবে নলডাঙ্গার পুরাতন ভগ্ন গৃহাবলীতে বাস করিতেছেন। আর তাহাদিগের পৈতৃক মামুদশাহী পরগণার V১২ গণ্ড অংশ এক্ষণে নড়াইলের বাবুদিগের অধিকৃত। উক্ত বাবুদের সম্পত্তির মধ্যে উহাই সৰ্ব্বপ্রধান। বর্তমান নলডাঙ্গার রাজা বাহাদুর রামশঙ্করের বংশধর । রাজা রামশঙ্করের জীবদ্দশায় তৎপুত্র মোহনচাদের মৃত্যু হয় (১৮১১ ) । তাহার অল্পবয়স্ক বিধবা পত্নী রাণী তারামণির একটি শিশু পুত্র থাকে, তাহার নাম শশিভূষণ। ১৮১২ অব্দে রামশঙ্করের মৃত্যু হইলে, তংপত্নী রাণী রাধামণি সতী-ধৰ্ম্ম পালন করিয়া স্বামীর চিতায় তমুত্যাগ করেন। তখন দশ মাসের শিশু শশিভূষণ রাজ্যের অধিকারী হন এবং সম্পত্তি কোর্ট-অব-ওয়ার্ডসের হাতে যায়। ১৮৩০ অব্দে শশিভূষণ প্রাপ্তবয়স্ক হইয়া জমিদারী গ্রহণপূৰ্ব্বক সুন্দর ও মুনিপুণ ভাবে প্রজা পালন করেন এবং অল্পদিন মধ্যে এক নাবালক দত্তকপুত্র রাখিয়া অকালে কালগ্রাসে পতিত হন (১৮৩৪ )। পুনরায় জমিদারী কোর্ট-অব-ওয়ার্ডসে যায়। ১৮৫৩ অব্দে উক্ত দত্তকপুত্র রাজা ইন্দুভূষণ স্বহস্তে জমিদারী পরিচালনা আরম্ভ করেন এবং কতকগুলি সৎকার্য্যে দান করিয়া গবর্ণমেণ্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রামশঙ্করের সময় হইতে এই বংশের রাজোপাধি এক প্রকার লোপ পাইয়াছিল। ইন্দুভূষণ বহু কষ্টে মুর্শিদাবাদ রাজ-দপ্তর হইতে চণ্ডীচরণের রাজ-সনদের প্রতিলিপি আনিয়া, উহা প্রদর্শনপূৰ্ব্বক ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে নূতন খেলাত ও সনন্দ পান। তিনি