89e যশোহর-খুলনার ইতিহাস মহতাবই কিল্লাদার হন। সুতরাং মজুমদার উপাধি ও জায়গীর তাহারই দখলে থাকে। বিনোদ জমিদারী পান না। র্তাহার বংশধরগণ নিকটবৰ্ত্তী দেবিদাসপুরে ও তথা ছুইতে মুখ পুকুরিয়ার ধারে খড়িঞ্চ প্রভৃতি স্থানে বাস করেন। প্রতাপাদিত্যের সহিত মোগল-সংঘর্ষ ক্রমে ঘনীভূত হইবার উপক্রম হইলে মহতাবরাম মূলগ্রাম ত্যাগ করিয়া ৮ মাইল উত্তরে খেদাপাড়া নামক স্থানে আসিয়া এক বিস্তীর্ণ বাওড়ের সন্নিকটে গড়-বেষ্টিত প্রকাও বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন । এখনও সেখানে রাজ বাড়ীর ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান। মহতাব রাম সেই খানেই ছিলেন । তিনি উভয় পক্ষ ঠিক রাখিয়া চলিতেন ; মোগলের জায়গীরদার হইলেও প্রতাপের সহিত তাহার সম্প্রীতি ছিল এবং সম্প্রীতির মুল র্তাহার জ্যেষ্ঠতাত যজ্ঞেশ্বর । যজ্ঞেশ্বর এই স্থানেই প্রথমে শুামরায় বিগ্ৰহ আনিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিগ্রহের সেবার জন্য প্রতাপ যে বিস্তীর্ণ দেবোত্তর সম্পত্তি দিয়াছিলেন, তাহ পূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে (২৩৯পূ: )। মানসিংহ যখন সসৈন্তে প্রতাপের বিরুদ্ধে আসেন, তখন মহতাবরাম তাহার অধিকাংশ সৈন্য লইয়া গিয়া তাহার সাহায্য করেন। মোগলের কৰ্ম্মচারী হিসাবে ইহা তাহার কৰ্ত্তব্য ছিল ; ভবানন্দের মত র্তাহার স্কন্ধে বিশ্বাসঘাতকতার দোষ চাঁপাইবার কিছুমাত্র কারণ নাই। প্রতাপের সহিত সন্ধি করিয়া যখন মানসিংহ প্রত্যাগমন করেন, সম্ভবতঃ তখনই মহতাব রাজ্যেপাধি পান। বংশ-পরম্পরায় যেমন ক্রমে ক্রমে যশোর-রাজ্যের অধিকাংশ পরগণা মহতাবের বংশধরদিগের করায়ত্ত হইয়া পড়িতেছিল এবং মুরনগর রাজবংশের পতন হুইয়া গেল, তখনই র্তাহার। "যশোহরের রাজা বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইলেন। প্রতাপের পতনের পর ১৬১০ খৃষ্টাব্দে যখন ইনায়েৎ খ যশোহর রাজ্যের প্রথম ফৌজদার নিযুক্ত হইলেন, তখন মহতাব রামের কিল্লাদার পদ আর রহিল না এবং তাছার নিষ্কর জায়গীরও বন্ধ হইল। তখন ইসলাম খাঁ মহতাবের জায়গীর প্রকৃতভাবে জমিদারীতে পরিণত করিয়া দিয়া তাহার রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত করিয়া দিলেন । ৭ বৎসর এইভাবে রাজস্ব সরবরাহ করিয়া রাজত্ব করার পর মহতাব রায়ের মৃত্যু হয় ( ১৬১৯ )। • তিনি পৈতৃক ৪ পরগণার জমিদার ছিলেন। - 轉 “During the last seven years of his tenure, it is recorded that he had to pay revenue on account of his lands, which apparently had not before been assessed.” Westland's Jessore, p. 45.
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৮
অবয়ব