পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস والموا8 অত্যন্ত সুলভ হইয়াছিল, টাকায় আটমণ করিয়া চাউল বিক্রয় হইতেছিল। শাস্তিমুখে ক্রীড়া কৌতুকে লোকে যুদ্ধ বিগ্রহ ভুলিয়া যাইতেছিল। ফৌজদার মুরউল খাঁ কিরূপে মুখবিলাসে তৈলাক্ত নাসিকার ঘুমাইতেছিলেন, তাহ আমরা পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি। সভাসিংহের বিদ্রোহকালে স্বল্প সৈন্ত সংগ্রহ করাও তাহার পক্ষে দুরূহু ব্যাপার হইয়াছিল। ঐ মুরউলার সহিত মনোহর রায়ের বন্ধুত্ব স্থাপিত হইয়াছিল। শুধু যে মনোহরেরই সে বন্ধুত্বের প্রয়োজন, তাহা নছে ; র্তাহার মত প্রবল জমিদারের সহিত সদ্ভাব না রাখিলে স্থূরউল্যারই তিষ্ঠিয়া থাকা দায় হইত। মুরউলার সাহায্যে ঢাকায় নবাব-দরবারেও মনোহরের প্রতিপত্ত্বি হইল। নিকটবৰ্ত্তী সমস্ত জমিদারের মালগুজারি তাহার সামিল হইল। কন্দপের মত মনোহরও সেই সুবিধায় পরগণার পর পরগণা দখল করিতে লাগিলেন। ছোট বড় সকলকেই তাহার শরণাপন্ন হইতে হইত। যিনি রাজস্ব দিতে পারেন, ভালই, নতুবা মনোহর রায় ধার দিয়া সময় মত টাকা পাঠাইয়। নবাব সরকারে বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখিতেন । যাহারা টাকা দিতে পারিতেন না বা বিরোধ করিতেন, মনোহর নিজ হইতে তাহাদের টাকা দিয়া পরে নিজের নামে তাছাদের জমিদারীর সমনদ লিখাইয়া লইতেন । সুতরাং যাহাজের সম্পত্তির উপর তাহার লোভ বা আক্রোশ হুইত, গুপ্তভাবে তাতাদের সৰ্ব্বনাশ সাধন করাও র্তাস্থার পক্ষে অসম্ভব ছিল না। মনোহর রায় যে সকল জমিদারী দখল করিয়াছিলেন, তাহান্ন মধ্যে কোনটি হায়তঃ বা কোনটি অন্যায় ভাবে অর্জিত হইয়াছিল, তাহ। এক্ষণে স্থির করিবার উপায় নাই। পরগণার প্রাচীন হিসাব খুলিলেই দেখা যায়, সমুদ্রে নদী পতনের মত জমিদারীগুলি মনোহরের করতলে পড়িয়াছিল। তিনিই চাচূড়ার জমিদারীর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা । মনোহর যেমন নানাভাবে জমিদারীর অসম্ভব আয়বৃদ্ধি করিয়াছিলেন, তেমনি রাজধানীর সৌষ্টববৃদ্ধি কার্ধ্যে, ধৰ্ম্মাহুষ্ঠানে এবং দানধ্যানে যথেষ্ট অর্থব্যয় করিতেন। তাহারই সময় হইতে মহাসমারোহে দুর্গোৎসবাদির অনুষ্ঠান আরন্ধ হয়। তিনি রাজবাটীর পার্শ্বে এক প্রকাও শিব মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন। এবং উছার পার্থে “শিবসাগর” নামক দীঘি খনন করেন। মন্দিরটির সন্মুখভাগ প্রাচীন ধরণে নানা কারুকার্ব-খচিত। পূৰ্ব্বদিকে উহার সদর, সেই দিকে দীঘি। সম্মুখে প্রাচীর গাত্রে উৎকীর্ণ আছে --