বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা সীতারাম রায় 48 ώ. যখন সীতারামের সেনা বিভাগে প্রবেশ করেন, তখন র্তাহাকে সাধারণ লোকে মেন হাতী বলিত্ব। ক্ষুদ্রাকৃতি এবং ক্ষুত্রদন্ত স্ত্রীহস্তকেই মেনাহাতী বলে। "রামরূপকেও সেইরূপ ছোট-খাট হাতীর মত দেখা যাইত বলিয় তাহারও নাম হইয়াছিল মেনাহাতী এবং এই নাম সৰ্ব্বসাধারণের নিকট এমন সুপরিচিত হইয়াছিল যে তাহার প্রকৃত নাম লোকে জানিত না। তাই তাহার নাম খুজিয়া পাওয়া দায় হইয়াছে। বিশেষতঃ তিনি চিরজীবন অকৃতদার এবং নিঃসন্তান, সুতরাং তাহার নিজের বংশ ধারা নাই। এইজন্তু তাহার পরিচয়-স্বত্র এমন বিলুপ্ত হইয়া পড়িয়াছে যে তিনি হিন্দু কি মুসলমান ছিলেন, ইহাই লইয়া লেখক দিগের মধ্যে বাদামুবাদ চলিয়াছিল। আমাদের দেশের ইতিহাসের এই দুর্দশ দেখিলে ব্যক্তিমাত্রকেই ব্যথিত হইতে হয়। - - সীতারামের ঢাকায় যাওয়ার পূর্বে রামরূপ তথায় গিয়া নবাব ফৌজে চাকরীর চেষ্ট করেন। করিম খাঁর বিদ্রোহ দমন জন্ত সীতারামের অধীন যে সৈন্ত প্রেরিত হয়, সম্ভবতঃ তাহার জনৈক সেনানী ছিলেন--রামরূপ এবং সেই প্রসঙ্গে তাহার বীরত্বের চাক্ষুষ পরিচয় পাইয়া সীতারাম তৎপ্রতি আকৃষ্ট হন । সীতারাম যে নলী পরগণার জায়গীর পাইলেন, তন্মধ্যেই রামরূপের বাড়ী সুতরাং তিনি স্বচ্ছনাচিত্তে সীতারামের সহচর হইলেন। ক্রমে র্তাহার বক্তার খাঁ ও আমল বেগ নামক আরও দুইজন মুসলমান সেনানী জুটিয়া যায়। গল্প আছে, বক্তার খাঁ একজন বিখ্যাত ডাকাইত ছিল ; সীতারাম রামরূপের সঙ্গে ঢাকা হইতে প্রত্যাগমন কালে একস্থানে নৌকা লাগাষ্টয়া রাত্রিযাপন করিতেছিলেন । এমন সময়ে অদূরে গ্রামের ভিতর ডাকাইতী হইবার শব্দ শুনিলেন ; অমনি তিনি ও রামরূপ উভয়ে অসিহস্তে দৌড়িয়া গিয়া ডাকাইতদিগকে আক্রমণ করেন ; তখন দম্বাদলপতি বক্তারের সহিত সীতারামের ঘোর যুদ্ধ বাধিল । সে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করিয়া বক্তার সীতারামের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নিজে ডকাইত বলিয়া ডাকাইত দলের সন্ধি-কৌশল জানিতেন, এজন্ত তাহার সাহায্যে দম্যদলন কার্যা সহজ হইয়াছিল। আমল বেগ একজন মোগল, তিনি সম্ভবতঃ নবাৰী ক্ষেীজে কাৰ্য্য করিতেন, সীতারামের পরামর্শে তাহার দলভুক্ত হন। তাহার বিশেষ পরিচয় জানা যায় না। তবে তিনি শত্রুসৈন্ত আক্রমণকালে বড় দ্বন্ধৰ্ব ছিলেন ; এজন্ত লোকে তাহাকে আমল বেগ না বলিয়া ছামূল ४१