সীতারামের রাজ্যবিস্তার d\రి পরগণার দক্ষিণাংশে ভৈরব নদের কূলে মূলঘর নামক স্থানে বসতি স্থাপন করেন। প্রতাপের পতনের পর সে জমিদারী সনন্দ নবাব কর্তৃক স্বীকৃত হয়। জানকীবল্লভের পৌত্র হরিনাথ সকল সরিককে বঞ্চনা করিয়া সমস্ত জমিদারী দখল করিয়া লন এবং নবাব সরকার হইতে রাজোপাধি পান। তিনি এক কুল-যজের অনুসন্ধান করেন বটে, কিন্তু তাহার প্রপীড়িত জ্ঞাতিগণ বিরুদ্ধ হওয়ায় র্তাহার সকল চেষ্টা বিফল হয় এবং তিনিও ভগ্নাশ হইয়া অল্পদিন মধ্যে গতাস্থ হন। তৎপরে তাহার বৈমাত্রেয় ভ্রাত রামরাম রায় তাহারই মত অঙ্গ সকলের দাৰি উপেক্ষা করিয়া জমিদারীর বুহত্তর অংশ ভোগ করেন। তিনি vজগদেক নাথ বিগ্রহের জন্য যে সুন্দর জোড়বাঙ্গালা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন, উহার গাত্রলিপি হইতে ১৫৯৩ শক বা ১৬৭১ খৃষ্টান্ধ পাই । কিছুদিন পরে তাহার মৃত্যুর পর, জমিদারী তৎপুত্র কৃষ্ণকান্ত ও রামকেশল শিরোমণির হন্তে আসে। ইহাদেরই সময়ে সীতারাম খড়রিয়া পরগণার রাজস্ব দাবি করেন। উষ্ঠার দুইজনে এবং কাজুলিয়ার সরিকগণ সীতারামের বগুত স্বীকার করিতে বাধ্য হন বটে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তাহার সরকারে রাজস্ব সরবরাহ করিয়া ছিলেন কিনা, তাছা ঠিক ভাবে জানা যায় না । তদনন্তর সীতারাম বাগের হাটের পথে রামপালে উপনীত হইয়া বিদ্রোহী দিগকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। যুদ্ধ হইয়াছিল সত্য, নতুবা তিনি স্বপ্রদত্ত সনদে “রামপাল জয়” করিবার কথা উল্লেখ করিতেন না। কিন্তু সে যুদ্ধ কোথায় কি ভাবে হইয়াছিল, তাহ ঠিক জানা যায় না। পারমধুদিয়ার কাছে রণভূম বা “রণের মাঠের সঙ্গে ঐ সংঘর্ষের কোন সম্পর্ক আছে কিনা, জানিনা । তবে যুদ্ধ যেখানেই হউক, উহার ফলে যে সীতারাম নিকটবৰ্ত্ত চিরুলিয়া, মধুদিয়া প্রভৃতি পরগণার জমিদারীর স্বামিত্বলাভ করিয়াছিলেন, ইহা সত্য কথা । যত্নবাবুর পুস্তক হইতে জানিতে পারি, এই সময়ে চিরুলিয়া জমিদারীর অংশভাগী দেবকী নন্দন বনু চিরুলিয়া ত্যাগ করিয়া মহম্মদপুরে যান এবং তাঙ্গর বংশধরগণ এখনও তন্নিকটবৰ্ত্ত ধূলজুড়ী গ্রামে বাস করিতেছেন। এইভাবে আমরা দেখিতে পারি, সীতারামের রাজ্য পদ্মার উত্তর পার হইতে আরম্ভ করিয়া বঙ্গোপসাগরের প্রাপ্ত পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত ছিল। তবে পূৰ্ব্বদিকে সে রাজ্য মন্দরবন পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত হইলেও পশ্চিমাংশে তাহা ভৈরবের দক্ষিণে যায় নাই।
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৭
অবয়ব