বঙ্গে বারভুঞ 'LA প্রথম ও প্রধান ছয় জন ভুঞার মধ্যে খিজিরপুরের ঈশা খাই সৰ্ব্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য । কারণ দায়ুদের পতনের পর তিনি বহুসংখ্যক পাঠান সেনার অধিনায়ক হইয়া সুদূর পূর্ববঙ্গে এক রাজ্য স্থাপন করিয়া প্রথম ভাগে প্রতাপশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন। তবে তিনি যে সকলের প্রধান ছিলেন, এবং অন্তান্ত ভূঞাদিগের উপর আধিপত্য বিস্তার করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, তাহ বোধ হয় ন। • পাইয়েটার বিবরণী হইতে আমরা জানিতে পারি, যে তৎকালীয় ভূঞাদিগের মধ্যে কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য ও ঈশা খা প্রধান। কিন্তু এই তিন জনের মধ্যে ঈশা খাঁ সৰ্ব্বাগ্রে (১৫১৫), বঙ্গত স্বীকার করেন। অপর দুইজন উহার বহু পরেও বঙ্গতা স্বীকার করেন নাই, স্বদেশের জন্ত প্রাণ দিয়া তাহাদের অবসান হইয়াছিল। সুতরাং প্রধান স্থান দিতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে বিচার করিতে হইবে, প্রতাপাদিত্য ও কেদার রায় এই উভয়ের মধ্যে কাহার প্রাপ্য। আমরা তাহা পরে দেখিব। অপর তিনজন ভুঞার মধ্যে ভূষণার মুকুন্দরামই বহুদিন পৰ্য্যন্ত মোগলের বিপক্ষতাচরণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। উহার প্রধান কারণ এই যে তিনি মোগলেব স্বপক্ষীয় বা বিপক্ষ ইহাই বুঝিতে বিলম্ব হইয়াছিল, তিনি কখনও মোগলের বস্তৃতা স্বীকার করিতেন, সামান্ত পেসক দিতেন, কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে রাজ্যবিস্তার করিতে না পারিলেও অন্ত ভুঞার সহিত গুপ্ত সন্ধি করিতেন এবং এক প্রকার স্বাধীনভাবে রাজ্যশাসন করিতেন। বাকৃলার কনাপ রায় ও তৎপুত্র রামচন্দ্র এবং ভুলুয়ার লক্ষ্মণ মাণিক্য মোগলের শক্র হওয়া অপেক্ষ নিজেদের মধ্যে আত্মকলহেই অধিক বিব্রত ছিলেন। রামচন্দ্র লক্ষ্মণ মাণিক্যকে হত্যা করেন, পরে নিজেই মোগল চরণে অবনত হইয় পড়েন। কিন্তু এই কয়েক জন ভূঞা সম্বন্ধে কোন সমালোচনা করিবার পূৰ্ব্বে র্তাহাদিগের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানা আবশ্যক।
- “The King of Patanaw was Lord of the greatest part of Bengala, until the Mogol slew their last King. After which twelve of them ( i.e. the Bhuyas ) joined in a kind of aristocracy and vanquished the Mogols and still notwithstanuing the Mogol's greatness, are great Lords, specially he of Siripur and of Ciandecan, and above all Moasudalim.” Purcha's Pilgrims, part IV. Book V. p. 511. onto atato atto ; "Isa acquired fame by his ripe judgment and deliberateness and made the twelve Zemindars of Bengal subject to himself." Akbarmama, (Beveridge) vol. III p. 648.