পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ᎼᎳᎭ যশোহর-খুলনার ইতিহাস ছিলেন, বিরাজ তাহাদিগকে মুর্শিদাবাদে রাপিয়াছেন, ষ্টয়ার্ট গোলমাল চুকাইবার জন্ত তাহাদিগকে দাসরূপে বিক্রয় করিয়াছেন ওয়েষ্টলাণ্ড সাহেব ইয়ার্টের এ উক্তি বিশ্বাস করেন নাই । নবাব মুর্শিদকুলি জমিদারদিগের প্রতি কঠোর হইলেও সাধারণতঃ তাহাদিগকে শূলদণ্ড দিতেন বলিয়া গুনা যায় নাই। সম্ভবতঃ বাদশাহ-বিবারে নবাব সুবিধামত আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া যে বিবরণ দাখিল করেন, উহারই উক্তি হইতে সীতারামেব পরিণাম নির্ণত হইয়াছে। * দয়ারাম রায়ই সীতারামকে বন্দী করিয়া নিজের সঙ্গে আনিয়াছিলেন। তিনি মুর্শিদাবাদে পেছিবার পূৰ্ব্বে নিজবাট ঘুরিরা আসিয়াছিলেন । কৃষ্ণজী বিগ্ৰহ লষ্টয়া দিঘাপাতিয়ায় যাঙ্গ বার পথে তিনি বন্দী গীতারামকে নাটোর রাজবাটীর কারাগারে রাপিয়া যান। কোন কক্ষে তাছাকে আবদ্ধ রাখা হয়, তাহ এখনও লোকে দেথাইয়া দিয়া থাকে এবং জনরব এতদূরই রটিয়াছিল যে, সীতারাম সেই কারাগারে মৃত্যুমুখে পতিত হন । প্রকৃত কথা তাহা নহে ; মুর্শিদাবাদে সীতাৰামের মৃত্যু হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে। দয়ারাম শীঘ্রই তাঙ্গকে মুর্শিদাবাদে হাজির করিয়া দিয়াছিলেন । দয়ারাম যে সীতারামের পরিবার বর্গকে বন্দী কবিয়া আনেন নাই, উহা সত্য কথা ; তাছা হৃষ্টলে উহারাও নাটোরে আসিতেন এবং রাজসাহীর জনশ্রুতি উহণব সাক্ষ্য দিত। কৃষ্ণভক্ত দয়ারাম হিন্দুৰ স্ত্রী পরিবারের প্রতি কোন অত্যাচাব করিতে পারেন না । শেষ মুহূর্বে সীতারামের বন্দী হওয়াব পূৰ্ব্বে পরিবারবর্গ সকলে পলায়ন করিতে পারিয়াছিলেন, ইহ সম্ভবপর। দয়ারাম মাত্র বীরবব সী তারামকে বন্দী করিয়া নবাব দরবারে পৌছাইয়া দিয়াছিলেন এবং স্বীর অসাধারণ বীরত্বের জন্ঠ “রায় রায়ান” উপাধি এবং রঘুনন্দনের কৃপায় কতকগুলি জমিদারী লাভ করেন। } সীতারাম নাটোব হইতে মুর্শিদাবাদে নীত হইবাব পর কয়েক মাস কাল

  • “The governor wrote a particular representation of all the circumstances to the Emperor, placing his own conduct in the most favourable point of view”. Stewart p. 434. "As for the impaling, admitting even its truth, still it was more than the punishment which that particular Nawab ordinarily inflicted on zemindars who had fallen in arrear with their rents”. Westland

p. 387. - t "The Rajas of Rajshahi", Cal Rev. Vol Lvi ( 1873 ) p. 38.