পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* V&8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস হইতে চৌধুরী উপাধি পান। চুচড়ার সোমবংশীয় বিহারের মুবাদার মহারাজ জানকীনাথ এবং তৎপুল্ল “মহারাজ মহীশ্ন” দুর্লভরাম সোম কিভাবে নবাব আলিবর্দী ও সিরাজের রাজত্বে রাজনৈতিক ক্রীড়ায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন, তাহা ইতিহাল-পাঠকের অবিদিত নাই । জাতিভেদ অনুসারে যশোহর-খুলনার উচ্চজাতীয় লোক সংখ্যার একটা সাধারণ হিসাব দিভেছি। গত ১৯২১ অব্দের সমাহারের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হইলে, তদনুসারে স্বক্ষহিসাব পরিশিষ্ট-খণ্ডে দিব । আপাততঃ মোটামুটি হিসাবই তুলনায় সমালোচনার পক্ষে যথেষ্ট মনে করি। উভয় জেলার মোট লোক সংখ্য প্রায় ৩২ লক্ষ। তন্মধ্যে মুসলমানের অনুপাত যশোহরে শতকরা ৬২ জন, খুলনায় ৫২ জন, গড়ে ৫৭জন অর্থাৎ মোট প্রায় ১৮লক্ষ। অবশিষ্ট ১৪লক্ষ হিন্দু অধিবাসীর মধ্যে ব্রাহ্মণ ৬৮ হাজার, কায়স্থ ৯০ হাজার, বৈদ্য ৪ হাজার। অর্থাৎ কায়স্থের সংখ্যা ব্রাহ্মণ ও বৈন্ধের সমষ্টি অপেক্ষাও প্রায় ও অধিক । আবুল ফজল লিখিয়া গিয়াছিলেন যে বঙ্গদেশের অধিকাংশ ভূঞা বা রাজাই কায়স্থ ; আলোচ্য দুই জেলায় জমিদারের সংখ্যা তাহাদের মধ্যেই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক, তৎপরে ব্রাহ্মণ। বৈস্তু ভূম্যধিকারী বড়ই কম। উচ্চরাজকাৰ্য্যে এবং চাকরী ক্ষেত্রে কায়স্থ ভ্রাহ্মণের অবাধ প্রতিপত্তি হইলেও শিক্ষিতের অনুপাত ও শিক্ষালাভের চেষ্ট বৈদ্যের মধ্যেই অধিক। কায়স্থ-ব্রাহ্মণের বিশাল সমাজে লোকসংখ্যা অধিক, নানাশ্রেণী ও অবস্থার লোক উছার অগুভুক্ত, তন্মধ্যে হেয়কাৰ্য্যে লিপ্ত ও হীনাবস্থাপল্লের সংখ্যা কম নহে ; একই জাতির মধ্যে অভিজাত্য ও সামাজিক অবস্থার অত্যধিক তারতম্যের জন্তু স্বজাতি-প্রীতির মাত্র বড় কম ; উহাই উন্নতির পথে অন্তরায় হইয়াছে। অপরপক্ষে স্বল্পসংখ্যক বৈন্ধের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতির ফলে শিক্ষা ও উন্নতির পন্থা সুগম হইয়াছে। বর্তমান সময়ে যশোহর ও খুলনা উভয়স্থলে ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান প্রভৃতি অবৈতনিক উচ্চপদগুলি সকলই কারস্থের করায়ত্ত, ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়। সমাজে বৈল্পকারন্থের যে বিদ্বেষভাব জাগিয়াছিল, তাহ এক্ষণে কতক প্রশমিত হইয়াছে। এখনও এদেশীয় কতক বৈদ্যসন্তান অমুপনীত থাকিলেও, বৈদ্ধ সমাজে উপনষন পদ্ধতি স্থায়িভাবে প্রচলিত হইয়াছে ; এখন অব সে বিষয়ে