পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। হইতে রাস্তার পরিষ্কার চিহ্ন পাওয়া যায় এবং সেদিকে একটি গুম্বজওয়াল মসজিদের ভগ্নাবশেষ আছে। ইচ্ছামতী বা কদমতলী দক্ষিণে গিয়া আড়াই বাকীর মোহান পার হইয়া, মালঞ্চ নাম ধারণ করিয়াছে। মালঞ্চ ও আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর মাঝে হরিখালি নামক একটি সুদীর্ঘ খাল উভয়কে সংযুক্ত করিয়াছে। এই হরিখালির দক্ষিণতীরে এক স্থানে ১৭৯ নং লাটে নদীর গায়ে ভগ্ন বাটীর প্রাচীর আছে। সম্ভবতঃ তথায় লবণের কারখানা ছিল । হরিখালি হইতে দক্ষিণ দিকে একটি পাশখালির পাশ্বে একটু দূরে এক প্রকাও ভগ্ন বাটীর প্রাচীরদি দণ্ডায়মান রহিয়াছে। ৪৫ বৎসর পূৰ্ব্বে গুরুচরণ দাস নামক এক সন্ন্যাসী এই ভগ্ন বাটতে আসিয়া আশ্রয় লইয়া সাধন ভজন করিতেন। ইনি পূৰ্ব্বে কিছুদিন তেরকাটির জঙ্গলে ছিলেন। সেখানে একটি খালের কুলে যেস্থানে তিনি বৃক্ষতলে আশ্রম নির্দেশ করিয়াছিলেন, তাহাও আমরা দেখিয়াছি। তিনি অনেকদিন ব্যাস্ত্রসস্কুল হরিখালির জঙ্গলে ছিলেন, এবং জানি না কি কৌশলে বা সাধনবলে ব্যান্ত্রের করাল গ্রাস হইতে আত্মরক্ষা করিয়াছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ রক্ষা করিতে পারেন নাই। আমরা হরিখালির জঙ্গলে যাইবার কিছুদিন পূৰ্ব্বে তাহাকে এক ভীষণ ব্যান্ত্রের উদরসাৎ হইতে হইয়াছিল। মালঞ্চ নদী যেখানে সমুদ্রে পড়িয়াছে, তাহার পশ্চিম ধারে রায় মঙ্গল মোহানার সন্নিকটে ১৮৭ নং লাটে ইষ্টকগুহের ভগ্নাবশেষ আছে। মালঞ্চের পূর্ব পার্থে টিপনের মাদিয়া (দ্বীপ)। তাহার পূৰ্ব্বে সেজিখালি নদী। এই সেজিখালির পূৰ্ব্বতীরে ১৮৮ নং লাটে কাশীয়াডাঙ্গা নামক স্থানে বড় জামগাছ ও পুঞ্জীকৃত ইষ্টক পড়িয়া রহিয়াছে। মালঞ্চ হইতে আড়াইবাকী নামক এক সুবৃহৎ দোয়ানিয়া আড়পাঙ্গাসিয়ায় মিশিয়াছে। এই আড়াইবাকীর উত্তরাংশে প্রতাপাদিত্যের ধূমঘাট দুর্গ ছিল। তাহারই সন্নিকটে ১৭৩ নং লাটে নৌসেনাপতির বাসগৃহাদি ছিল। উহার বিলুপ্ত ভগ্নচিহ্ন এখনও বিদ্যমান। আড়পাঙ্গাসিয়া দিয়া উত্তর দিকে আসিলে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষের সঙ্গম স্থলে পতিত হওয়া যায়। এই খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে প্রতাপনগর ও গড় কমলপুর। কমলপুরে প্রতাপাদিত্যের একটি প্রধান দুর্গ ছিল। উহার উত্তরে এখনও এক প্রকাও মৃত্তিকার গড় আছে, তাহার পার্থে খোলপেটুয়া নদীর ধারে একটি