পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8 যশোহর ও খুলনার ইতিহাস । বিছট অতি পুরাতন স্থান ; ইহারই সন্নিকটে বাসুদেবপুরে দনুজমর্দনের মুদ্র পাইয়াছিলাম। প্রতাপনগর হইতে পূৰ্ব্বদিকে কপোতাক্ষ পার হইলে বর্তমান ২১২ নং লটের ভিতর গাদি গুম ও দমদম ছিল। প্রতাপাদিত্যের কপোতাক্ষ দুর্গের প্রসঙ্গে উহার বিষয় আলোচনা করা যাইবে। উক্ত দমদম প্রভৃতি স্থান হইতে দক্ষিণ মুখে গিয়া কাশীখাল পার হইলে, বর্তমান ২১১ নং লাটে পড়িতে হয় ; ঐস্থানে কপোতাক্ষের পূৰ্ব্বপারে সুবিদিত বেদকাণী আবাদ । ইহা অতি পুরাতন স্থান। এখানে একটি সুবিস্তৃত দীঘি আছে ; দীঘিটি পূৰ্ব্ব পশ্চিমে দীর্ঘ ; দৈর্ঘ্য ৭০০ হাত এবং প্রস্থ ৪০০ হাতের অধিক হইবে। দীঘির দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটি ইটে গাথা মঞ্চে ৮কালীর স্থান আছে এবং তাহার পাশে খালাস খা পীরের আস্তানা। এজষ্ঠ জলাশয়টির নাম হইয়াছে—“কালী-খালাস খা” দীঘি। সম্ভবতঃ পাঠান আমলে খালাস খা নামক জনৈক মুসলমান সাধু বা পীর এখানে আসিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার করেন এবং দীঘি তিনি খনন করেন। মোগল আমলে বা প্রতাপাদিত্যের সময়ে এখানে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিবে। দীঘিটির জল খুব ভাল ; ইহার উপরে এমন দামদল জন্মিয়াছে যে, শীতকালে মানুষে স্বচ্ছন্দে উহার উপর দিয়া চলিয় বেড়াইতে পারে। দীঘির উত্তরপূৰ্ব্ব কোণে কিছুদূরে একটি প্রকাও বাটীর ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে। এখনও উহার বেষ্টনপ্রাচীরের কতকাংশ এবং ৭০৮০ বিঘা জমি বেষ্টন করিয়া এক গড়খাই বৰ্ত্তমান আছে । ইহা খালাস র্থার দুর্গ কিংবা প্রতাপাদিত্যের দুর্গ তাহা স্থির করিবার উপায় নাই। তবে পাঠান আমলে মসজিদের যেরূপ প্রাচুর্য্য দেখা যায়, দুর্গের তেমন নিদর্শন নাই। তবে প্রতাপাদিত্যের সময় নিশ্চয়ই এস্থানে সমৃদ্ধ পল্লী ছিল ; নতুবা মহারাজ বসন্তরায় এখানে উৎকলেশ্বর শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করিতেন না। রাজধানী যশোহরপুরীকে কাশী বলা হইত ; দে রাজধানীর বিস্তৃতি উপনগর সমেত পূৰ্ব্বদিকে কপোতাক্ষ পর্য্যন্ত ধরা যাইতে পারে ; বারাণসীর অপর পারস্থ বেদকাশীর অনুকরণ কপোতাক্ষের অপর পারস্থ স্থানকে বেদকাণী বলা হইয়াছিল। বসন্তরায়ের যে কবিপ্রতিভা যশোরকে যশোহর করিয়াছিল, তাঁহাই বেদকাশী নামের ও উৎপত্তির কারণ। এই বেদকাণীতেও শিবমন্দির হইয়াছিল, তাহাতে শিলালিপি ছিল। সে মনির এক্ষণে