পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পয়ঃগ্ৰাম কসবা । ఇనసి নিষ্কৰ্ম্ম সৈন্যদিগকে ফুটবল কিনিয়া দিয়া কৰ্ম্মঠ রাখিতেছেন, খ জাহানের আমলে তাহ ছিল না। যুদ্ধ বধিলে সৈন্তের যুদ্ধ করিত, নতুবা কোদাল কেহ কাড়িয়া লইত না, অবাধে রাস্ত নিৰ্ম্মাণ ও পুষ্করিণী খনন করিতে করিতে দেশময় পুণ্যকীৰ্ত্তি রাখিয়া সৈন্যদল অগ্রসর হইত। এই প্রণালী একটি শিক্ষার বিষয় ; এমন ভাবে দেশের ও দশের স্থায়ী উপকারের উপায় আর নাই। উত্তরকালে রাজা সীতারাম রায়ও এই প্রণালী অবলম্বন করিয়াছিলেন। এই উভয়ের জলদান-পুণ্যে যশোহর-খুলনার অনেক স্থানে জলঘুর্ভিক্ষ নাই। বহুসংখ্যক কোড়াদার, বেলদার বা খননকারী সৈন্ত হস্তগত থাকায়, অনেক স্থানে অতি অল্প সময়ের মধ্যে রাস্ত বা পুষ্করিণী হইত। রাস্ত প্রস্তুত করিতে করিতে খ। জাহান আলী অগ্রসর হইতেন, আবার কোনস্থানে খাদ্যাদি সংগ্রহ বা অন্ত কোন কারণে কিছুকাল বিশ্রাম করিতে হইলে, তাহার বেলদার সৈন্তগণ অল্প সময়ের মধ্যে প্রকাগু দীর্ঘিকা খনন করিয়া ফেলিত। ইহাই লোকে সামান্ত অতিরঞ্জিত করিয়া বলে, খৰ্ণ জাহান আলী একরাত্রিতেই প্রকাণ্ড পুষ্করিণী খনন করিয়া ফেলিলেন, এবং তিনি নাকি রাত্রিতেই এই সকল অদ্ভুত কৰ্ম্ম করিতেন। এমন কি রাত্রি ভরিয়া পুষ্করিণী খনন করিতে করিতে তাহ শেষ হইবার পূর্বে স্বর্যোদয় হইলে, তৎক্ষণাৎকাৰ্য্য বন্ধ হইত এবং সে কার্য্য সেই অবস্থাতেই সেখানে অসম্পূর্ণ রহিয়া যাইত। শুধু পুষ্করিণী খনন নহে, রাত্রির মধ্যেই মসজিদ গঠনও হইত। কিন্তু ইমারাত গঠনের জন্ত ইট ও মালমসলা চাই, তাহা তিনি সঙ্গে ণইয়া ঘুরিতেন না, ইহাও লোকে ভুলিয়া যায়, ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয়। যাহা হউক, তিনি বহুলোকের অধিনায়ক বলিয়া এই সকল কাৰ্য্য যে স্বল্পায়াসে, অতি সামান্ত সময়ে সম্পন্ন করিতেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । মুড়লী হইতে ৪ মাইল পূৰ্ব্বদক্ষিণকোণে রামনগর গ্রামে খাঁ জাহান একটি বড় দীঘি খনন করেন। উহাকে এক্ষণে সাহাবাটীর দীঘি বলে। এখনও উহাতে বারমাস জল থাকে। ইহা উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ। কেহ কেহ এইজন্যই ইহাকে হিন্দ্বীষি বলিতে চান। কিন্তু তাহ সত্য নহে। হিন্দুর দীঘি উত্তর দক্ষিণে এবং মুসলমানের দীঘি পূৰ্ব্বপশ্চিমে দীর্ঘ করিয়া খনন করিবার নিয়ম আছে। ধী জাহান সে রীতি মানেন নাই। তাছার কারণ ছিল ; হিন্দুরা পূৰ্ব্বপশ্চিমে দীর্ঘ পুষ্করিনীর জল কোন বৈধকার্ধে ব্যবহার করেন না, মুসলমানদিগের উত্তর