পাতা:য়ুরোপ-ভ্রমণ - নরেন্দ্রকুমার বসু.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্ৰ । ধরিয়া ডাঙ্গায় বসিয়া থাকে, একখানা পার হইয়া গেলে অপর খানি ছাড়ে। ঘণ্টায় ৫ মাইলের অধিক গতিতে জাহাজ যাইবার নিয়ম নাই, কারণ, কুল বাধান নহে, পাছে ধসিয়া যায়। প্রায় সকল ষ্টেশনেই মাটিকাটা কল আছে, ক্ৰমাগত মাটি কাটিতেছে । আফরিকার দিকে থালের ধারে রেলপথ। " টুেন চলিবার সময় আরোহীদিগের মুখ পৰ্যন্ত দেখা যায় ; চন্দ্রালোকে খালের দৃশ্য বড় চমৎকার । তদ্ভিন্ন জাহাজের BDE LDLLLLLLLL LLL BBBDSBDBBLBDBD DBBB BDDED DDLDD SS DDDD DLBB ২৩টি বড় বড় হ্রদ আছে, তথায় জাহাজ দ্রুত যাইতে পারে । এই খাল যুরোপের স্থপতি বিদ্যার এক বিস্ময়কর উদাহরণ । প্রভাতে পোর্ট সৈয়দে পৌছিলাম। কিং কোম্পানীর লোক আসিয়া আমার চিঠি পত্র দিলেন ও কিছু করিতে হইবে কি না জিজ্ঞাসা করিালেন । আমি তাহাকে ধন্যবাদ দিয়া বিদায় করিলাম । আমরা কয়জন বাঙ্গালী মিলিয়া সহরা দেখিতে গেলাম। ক্ষুদ্র স্থান, কে বল কতকগুলি দোকান, হোটেল ও গণিকাগৃহ ব্যতীত আর কিছুই নাই । ভাল বাড়ীর মধ্যে এক কেনাল কোম্পানীর কাৰ্য্যালয় । আর দ্রষ্টব্য কেনালের স্থপতি লেশেপাসের প্রকাণ্ড মুক্তি ; গ্রামটি খুব সাৰ্বজনীন, এ স্থানে সব দেশের বদমায়েস লোকের আডা । দুরে আরবী গ্রাম ;-আমাদের পশ্চিমের গ্রামের মত অপরিচ্ছন্ন ও কদৰ্য্য । ভালর মধ্যে সিগারেট খুব সস্তা ; কলিকাতার দামের প্রায় এক लूडी गांभ । বেলা ১২টায় জাহাজ ছাড়িল। এইবার আমরা যুরোপে প্রবেশ করিলাম। শুনিয়াছিলাম, ভুমধ্য সাগর এ সময়ে খুব প্রশান্ত থাকে, কিন্তু বড় প্রশান্ত দেখিলাম না। আমাদের কপুল । তবে আজি সূৰ্য্যাস্ত বড় চমৎকার। পরদিন সুৰ্য্যোদয়ও দেখিলাম। ইহার পূর্বে এক দিনও আকাশ মেঘমুক্ত ছিল না।