পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»२७ शृशंखुब्रः নিঃশব্দে, নিস্তব্ধে আহার করিতেছে। এমন কি গৃহিণী, যিনি চিন্তার বড় ধার ধারেন না, এবং কৰ্ত্তার সহিত কথা কহিতে সৰ্ব্বাপেক্ষা সাহসী, তিনিও যেন আজ অধিক কথা কহিতে সাহসী হইতেছেন না। একবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “ই গা, তুমি কি ভাব ছা?” কৰ্ত্তা ৰলিলেন, “সকল কথাই কি বলতে হবে ?” আর গৃহিণীর দ্বিতীয় প্রশ্ন করিতে সাহস হইল না। আহারান্তে তর্কভূষণ মহাশয় শয়নগৃহে গেলেন। কিন্তু রাত্রে ভাল নিদ্রা হইল না। প্ৰাতে উঠিয়া কত্রী ঠাকুরাণী বিজয়াকে বলিলেন, “কাল কৰ্ত্তা ভাল ঘুমান নাই। মধ্যে মধ্যে উঃ আঃ করেছেন, ঘুমের মধ্যে বলেছেন,-“আর দেশে থাকতে দিলে না, পাপাচারে দেশ ডোবালে ; কি পাষণ্ড, গরিব ব্ৰাহ্মণকে ধনে প্ৰাণে সাৱা করলে।” ” কেহই কিছুই বুঝিতে পারিলেন না ; প্রাতে উঠিয়া কৰ্ত্তা মহাশয় নিয়মিত সকল কাৰ্য্য সমাধা করিলেন ; মনোভাব কিছুই বুঝিতে পারা গেল না । মাধ্যাহিক আহারান্তে কিঞ্চিৎ বিশ্রামান্তে শঙ্করকে ছাত্ৰাদিগকে পড়াইবার আদেশ করিয়া, চাদরখানি স্কন্ধে লইয়া বাহির হইলেন। গৃহিণী জিজ্ঞাসা করাতে বলিলেন, “একটু কাজে জমিদার বাবুদের বাড়ীতে একবার যাচ্চিা।” এই বলিয়া বাহিৱ হইয়া গেলেন। এদিকে জমিদার বাবু, রামহরি মিত্র, আহারান্তে তাহার বাহির বাড়ীর খাস কামরাতে শয়ন করিয়াছিলেন। নিদ্রান্তে উঠিয়া হরে চাকরকে ঢাকিতেছেন, “হরে, তামাক দোরে।” হরে তামাক লইয়া আসিতেছে, এমন সময়ে খপর আসিল যে, তর্কভূষণ মহাশয় সাক্ষাৎ করিতে নীচে উপস্থিত। এরূপ ঘটনা প্রায়ু হয় না ; সে ভবনে তর্কভূষণ মহাশয়ের দধূলি প্ৰায় পড়ে না। তিনি ত আর তোষামোদজীবী ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত হেন, যে ধনীদের গৃহে সৰ্ব্বদা গতায়াত করিবেন। জমিদার বাৰু