পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ 8 কিন্তু যখন শুনিলেন, যে বাইগণ র্তাহার বাজনাতে মুগ্ধ হইয়া এইরূপ স্থির করিয়াছে, তখন প্রশংসা-প্রিয়তার গৃঢ় শাক্ততে আপত্তিটাকে অনেক পরিমাণে মন্দীভূত করিয়া ফেলিল। পূৰ্ব্বদিনের সেই আসর ও তাহার উত্তেজনা, বামাকণ্ঠের সেই চিত্ত-দ্ৰবকারী সঙ্গীত, সমবেত ব্যক্তিগণের সেই প্ৰশংসা-ধ্বনি সমুদায় তাহার স্মৃতিপথে উদিত হইতে লাগিল। এইরূপ দোলায়মান-চিত্তে অবশেষে মৌনাত্মক সম্মতি প্ৰদান করিলেন । চিমু চতুর ও যুবক মজাইবার বিদ্যাতে পরিপক্ক লোক । সে ইহার অধিক আর কিছু চায়ু না । সে ঐ প্রকার সম্মতির লক্ষণ দেখিয়াই সন্তুষ্ট হইল ; বলিয়া গেল, “কাল রাত্রে যারা ছিল, তারা সকলেও আজি থাকিবে না ; গুটিকত বাছা বাছা লোক ; একথা প্ৰকাশ হবার কোনও ভয় নাই ।” সন্ধ্যাকালে চিমু ও জহরলাল হরচন্দ্ৰকে ধরিয়া বাইদিগের বাড়ীতে লইয়া গেল ! বাইগণ দ্ররচন্দ্ৰকে যথেষ্ট প্ৰশংসা করিয়া আসরের মধ্যে বসাইল ; এবং পূৰ্ব্ব দিনের বিবরণ বলিয়া নবসমাগত ব্যক্তিদিগের সহিত পরিচয় কািরয়া দিল। যথাসময়ে নৃত্যগীত আরম্ভ হইল। প্রথমে হরচন্দ্রের মনে যে কিছু সংকোচ ছিল, পূর্বদিনের হ্যায় বাজাইতে বাজাইতে সেটুকু চলিয়া গেল। অদ্যও তিনি সকলের প্রশংসাভাজন হইলেন । রাত্ৰে শয়ন করিবার সময় আবার হরচন্দ্রের মনে অনুতাপের উদয় হইল। কিন্তু মনে হইল, সেদিনকার কথা অতি অল্প লোকেই জানে। আর র্তাহার অপরাধই বা কি এত গুরুতর ? তিনি কেবল বাজাইয়াছেন, এই মাত্র, কোনও অসাধু আচরণে ত লিপ্ত হন নাই। ইহাতে কেহ যদি তাঁহার প্রতি বিরক্ত হয়, তবে তিনি নাচার। একটু আমোদ