পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 যুগান্তর হরচন্দ্রের মনে গুরুতর পরিবর্তন ঘটিয়া গেল। পূর্বের হরচন্দ্ৰ আর রহিল না। তিনি যতই একান্ত মনে ঈশ্বর-চরণে পড়িয়া প্রার্থনা করিতে লাগলেন, ততই তাহার অন্তরে বল, আশা ও আনন্দের সঞ্চার হইতে লাগিল । তিনি অগ্রে আপনার উন্নতি বিষয়ে এক প্রকার নিরাশ হইয়াছিলেন ; এক মাসের মধ্যেই সে নিরাশা বিদূরিত হইয়া আত্মোন্নতির প্ৰবল আকাঙ্ক্ষা আগুনের ন্যায় হৃদয়ে জ্বলিয়া উঠিল। বিজয়ী এই অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিতে লাগিলেন। একদিন রাত্রে হরচন্দ্ৰ বিজয়াকে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“ছোট পিসি! তুমি আমাকে কি পরামর্শ c७ ?” বিজয়া। প্ৰথম পরামর্শ-তোমাকে কুসঙ্গগুলি বিষের ন্যায় বৰ্জন कब्राऊ श्रद ! হরচন্দ্ৰ। সে ত করেছি। আর কি সে পথে যাই ? তৎপরে কি ? করা কীৰ্ত্তব্য ? বিজয় । তৎপরে, আত্মোন্নতির জন্য চেষ্টা করতে হবে । লেখা পড়া যে ছেড়ে দিয়েছ, তা দিলে চলবে না। তোমার তা খাবার পরবার ভাবনা নেই ; আবার পড়াশুনা আরম্ভ কর। হরচন্দ্র। এত বয়সে কি আর লেখাপড়া হবে ? বিজয় । কেন হবে না ? যত্নের অসাধ্য কি আছে ? রামমোহন রায় ২২ বৎসর বয়সের সময় ঘরে বসে ইংরাজী পড়তে আরম্ভ করে নিজের চেষ্টায় এমন ইংরাজী শিখেছিলেন যে, তার ইংরাজী লেখা দেখে এখন বড় বড় ইংরাজীওয়ালাদের তাক লেগে যায়। ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ ইংরাজীর নাম শুনিয়াই হরচন্দ্রের মনের একটা গুঢ় সংকল্প প্রকাশ হইয়া পড়িল । তিনি বললেন,-“ছোট পিসি ! ইংরাজী পড়ার কথা যদি বললে, তবে আমার একটা মদের কথা বলি। আমি ভেবেছি,