পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর وچاوه ইন্দু ও বিন্দুর কলিকাতার স্কুলে পড়ার প্রস্তাবে বিজয়ার মন এক নূতন চিন্তাপথে ধাবিত হইল। তিনি মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন, তাহা হইলে মন্দ হয় না। কিন্তু তাহার সম্ভাবনা কি ? জ্যেষ্ঠের কি সে বিষয়ে সম্মতি হইবে ? তাহার চিন্তার শেষ হইতে না হইতে হরচন্দ্ৰ সরিয়া আসিয়া বিজয়ার হস্তদ্বয় নিজ করপুটের মধ্যে লইয়া বলিলেন, — “ছোট পিসি ! আমার মাথার দিব্যি ; বল, যাবে ? তোমার দুটি পায়ে পড়ি ; তুমি কাছে না থাকলে কি জানি কোন বিপদে পড়ে যাই।” বিজয় । ও কি হার । মাথার দিব্যি দেও কেন ? আমার কি যেতে অনিচ্ছা ? আমি কেবল ভাবছিলাম। আমার উপরে সকল ভার, আমি গেলে চলে না ; সে বিষয়ে দাদারও মত হবে না । হর । তুমি যদি আমার যাবার বিষয়ে মতটা করতে পাের, আমি তোমার যাবার বিষয়ে মতটা করে নেব । তুমি গেলে এ বাড়ী বিশৃঙ্খল হবে জানি; তা বলে কি করবে ? তুমি যতদিন এসনি ততদিন কি চলে নি ? সেই রকম চলবে । আমার খাতিরে তোমাকে যেতে হবে। বিজয়ী মনে মনে ভাবিলেন,-“কেবল ষে তোমার খাতিরে যাইব তাহা নহে, আমারও খাতির আছে।” বাস্তবিক হরচন্দ্রের প্রতি বিজয়ার এমন একটু প্ৰীতি জন্ময়াছে, যে তাহাকে একাকী যাইতে দিতে আর ইচ্ছা করে না। ... এই একমাস কালের মধ্যে তিনি চিন্তা ও ভাবের বিনিময় করিয়া যে সুখ পাইয়াছেন, দুই বৎসরে তাহ পান নাই। হরচন্দ্র এখন তঁর সম-ভাবাপন্ন এবং ওদিকে প্ৰায় সমবয়স্ক । এরূপ ব্যক্তির সংসৰ্গ হইতে বঞ্চিত হওয়া অতীব ক্লেশকর। বিজয়া ভাবিলেন, হরচন্দ্ৰকে ত যাইতে বলিতেছি, কিন্তু ও গেলে আমি কিরূপে থাকিব ? কিয়ৎক্ষণ চিন্তার পর বলিলেন, “তোমার যে ভারি সাহস দেখছি।