পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

事》o *博 কৃষ্ণর করিয়া তুলিল। অথচ নবীনের প্রতি ৰাড়ীর সকলের এমনি বিশ্বাস ও ওঁমহাক এমনি আপনার লোক বলিয়া জ্ঞান যে, মাতঙ্গিনী যাহাষ্ট করুক। না কেন, গৃহিণীর বা অপর কাহারও চক্ষে কিছুই মন্দ দেখায় না। কেবল কৃষ্ণকামিনী মনে মনে এতদূর ব্যাপকতা পছন্দ করেন না, কিন্তু কিছুই বলেন না। নবীনচন্দ্র মাতঙ্গিনীর উপদ্রব কয়েকদিন সহা করিয়া অবশেষে একদিন ব্রজরাজকে বলিলেন, “ওহে তোমার মাসীকে বলে দিতে পাের, আমার প্রতি এতটা মনোযোগ দেওয়া ভাল দেখায় না ; আমি ইহা পছন্দ করি না।” ব্ৰজরাজ হাসিয়া কহিলেন, “মাসীর সব কাজেই বাড়াবাড়ি। তোমার উপর একটু ভালবাসা জন্মেছে কিনা, তাই তোমাকে নিয়েই ব্যস্ত। ও দুদিন পরেই যাবে।” ইহার পর একদিন ব্রজরাজ মাতঙ্গিনীকে বলিলেন, “মাস ! নবীন যখন বাহিরের ঘরে একলা থাকে, পড়াশুনা করে, তখন তুমি সেখানে যাও কেন ? সে ত ভাল नश् ।।” ५aई भोंड । যতই দিন যাইতে লাগিল মাতঙ্গিনী দেখিল, তাহার হাব ভাব, ইঙ্গিত, সংকেত, সেবা শুশ্রুষা কিছুই নবীনকে ধরিতে পারিতেছে না। তিনি যেন সে পথ দিয়া চলিতেছেন না, অথবা বুঝিয়াও ধরা দিতেছেন না। কৌশলে সৰ্ব্বদাই দূরে দূরে থাকিতেছেন। অবশেষে একদিন রাত্রে নবীনচন্দ্ৰ বাড়ীর মধ্যে আহার করিতে আসিয়াছেন, ইত্যবসরে মাতঙ্গিনী বাহিরের ঘরে গিয়া নবীনচন্দ্রের টেবিলের উপরে তঁহার নামে একখানি চিঠি রাখিয়া আসিয়াছে। নবীন আহারের পরে ঘরে গিয়াই পত্ৰখানি পাইলেন। খুলিয়া পড়িয়া দেখেন, তাহা মাতঙ্গিনীর লিখিত পত্র। তাছাতে মাতঙ্গিনী নবীনকে অনেক প্রেম-সুচক সম্বোধন করিয়াও “প্ৰাণের ভালবাসা” জানাইয়া, শেষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে বিবাহের প্রস্তাষ করিয়াছে। তিনি পন্থখানি পঢ়িয়া অতিশয় লজ্জিত ও