পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5gfteisesti & St রাগুঝে। এই বলিয়া একটু বসিয়া, টিমের সঙ্গে একটু হাস্য পশ্লিহান্স। করিয়া, চলিয়া গেলেন । ' সেকালের বৃদ্ধ৷ গৃহিণীরা বড় সরল লোক ছিলেন। ঘোষ-গৃহিণী সৰ্ব্বাগ্রে গিয়া কৃষ্ণকামিনীকে বলিলেন, “শুনালি কোেষ্টা, মাতীর কাণ্ড দেখলি ? কিসে কি কবে তুলেছে!” বলিয়া ভ্রাতা ভগিনীতে যত কথাবার্তা হইয়াছিল, সমুদায় কৃষ্ণকামিনীর কর্ণগোচর করিলেন। “এত বড় বিধবা মেয়ে নিয়ে ঘর কর, যাকে তাকে ঘরে পূরলেই হলো,” এই কথাগুলি শুনিয়া কৃষ্ণকামিনী চমকিয়৷ উঠিলেন। মামা কেন এরূপ কথা বলিলেন, ইহা ভাবিয়া দুজ্জাতে একেবারে মরিয়া গেলেন। পরিশেষে ভাবিলেন, যাক সভার্ট এবাড়ী হইতে উঠিয়া গেল, ভালই হলো। তিনি আমাদের বন্ধু আছেন, বন্ধুই থাকুন ; দাদার মুখে তঁাহার কুশল সংবাদ ত আমরা শুনিব, তাহাই যথেষ্ট। তিনি সাধু, তিনি বুদ্ধিমান, তিনি প্রতিভাশালী, তিনি জগতে দাড়াইবেন, উঠবেন, কিন্তু কাজ করবেন, শুনিয়াও ত আমরা সুখী হইব, তিনি এবাড়ীতে না আসিলেন, তাহাতে কি ? এত চিন্তা যে সেই নির্দোষ সরলা বালিকার মন দিয়া বহিয়া গেল, গৃহিণী তাহার কিছুই বুঝিতে পরিলেন না। কৃষ্ণকামিনী প্ৰকাশ্যে বলিলেন—“মা, সেই ত বেশ, এ বাড়ীতে আর সভা করে কাজ কি ? মামা যাতে বিরক্ত হন, তা না করাই ভাল।” গৃহিণী। বলিস কি রে, তুই সভার এত গোড়া, তোর মুখে এই কথা ! সভা উঠে গেলে তুই কি করে বঁাচ বি ? কৃষ্ণ । তুমি দেখো আমি বঁচি কিনা। ব্রজরাজ গৃহে আসিয়া সমুদায় কথা শুনিয়া প্ৰথমে মাতুলের প্রতি অতিশয় বিরক্ত হইলেন ; এবং মনে করিলেন যে মাতুলের আদেশ অগ্ৰাহ করিয়া বাড়ীতেই পূর্ববৎ সভা করিবেন। কিন্তু নবীনচন্দ্ৰ শুনিয়া