পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R C যুগান্তর যথাস্থানে প্রেরিত হইল। নবীনচন্দ্র স্কুল হইতে আসিয়াই পত্ৰখানি MDB DBBD SS S SDB BDBBD DDBDBDB BDBDDS SDBB DDDDB হস্তাক্ষর দেখিয়াই চমকিয়া উঠিলেন। একি ! কৃষ্ণকামিনী আমাকে পত্ৰ লিখিয়াছে, ইহা ত’ কখনও ভাবি নাই। খুলিতে র্তাহার হস্ত কঁাপিতে লাগিল ; হৃন্মক্ষ্মস্থানে একপ্রকার ভয় ও আশাজনিত কম্পন অনুভূত হইতে লাগিল। পত্র খুলিয়া প্ৰথমেই স্বাক্ষরটা দেখিলেন। স্বাক্ষর “তোমার মাসী।” তখন মনের উত্তেজনােটা একটু হ্রাস হইল। পত্ৰখানি আদ্যোপান্ত পাঠ করিলেন ; পাঠ করিয়া শয়ন করিয়া অনেকক্ষণ ভাবিতে লাগিলেন। এমন কি হইবে, কৃষ্ণকামিনীর পরামর্শক্ৰমে তাহার মাতা পত্ৰ লিখিয়াছেন ? আবার ভাবিলেন, না, তাহার স্বভাব এরূপ নয়। যাহা হৌক নিমন্ত্রণটা লই কি না ? নিমন্ত্রণ না লইয়াই বা থাকি কিরূপে ? যাহারা পুত্ৰবৎ স্নেহে পরিচর্য্যা করিলেন, তঁহাদের নিমন্ত্রণ অগ্ৰাহা করি কিরূপে ? শয্যায় পড়িয়া অনেকক্ষণ এইরূপ নানা চিন্তা করিয়া অবশেষে সন্ধ্যার পূর্বে ব্রজরাজদিগের গৃহাভিমুখে গমন করিলেন। পথে প্ৰতিজ্ঞ করিয়া গেলেন, দেখাইবেন যেন কিছুই ঘটে নাই। কিন্তু তিনি গিয়া দাড়াইবামাত্র ঘোষগৃহিণী বলিলেন-“ওমা, নবীন কি হয়ে গেছে দেখ, সেরূপ চেহারা যেন আর নাই ? সোনায় মুখ কালি হয়ে গেছে ; কি হয়েছে বাপধন ? কোনও মনের কষ্টে কি আছ ?” হায় রে! অকৃত্ৰিম প্রীতির এমনি গুণ, ঘোষগৃহিণীর অমৃতনিষ্যন্দিসম এই কথাগুলি শুনিয়া নবীনের ন্যায় তেজস্ব বলবান পুরুষেরও চক্ষে জল আসিল । গৃহিণী কৃষ্ণকামিনীকে ডাকিয়া বলিলেন—“ও কেষ্টো, এসে দেখা নবীন একেবারে আধখানা হয়ে গেছে।” সে সময়ে স্বীয় ভ্ৰাতার সদুপদেশ ও সতর্কতা স্মরণে আসিল না । কৃষ্ণকামিনী মাতার আহবানে অনিচ্ছাসত্ত্বেও আসিলেন। গৃহিণী নবীনের প্রতি, কঠিন-হৃদয়,