পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&>象 যুগান্তর - ভুবন। বাবাকে । , গৃহিণী। আ মরি, মরি, বাপের বাড়ী যাবার সাধটা বুঝি আবার বেড়ে উঠেছে ? তা মনে করে না, সে গুড়ে বালি। কোথায় সে চিঠি ? ভুবন । আমার কাছে আছে, কাল ডাকে দিতে হবে। গৃহিণী। আর ডাকে দিয়ে কাজ নি, চিঠিখানা আন দেখি । ভুবনেশ্বরী বিরক্তিসহকারে চিঠিখানা আনিয়া দিলেন। গৃহিণী বলিলেন, “থাক জ্ঞানেন্দ্ৰ এলে পড়িয়ে দেখতে হবে।” ভুবনেশ্বরী জানিল, cन लिन (qक श्रद्धांत लिन । যথাসময়ে জ্ঞানেন্দ্ৰ আসিয়া উপস্থিত। আজ সে মাতাল হইয়া আসে নাই বটে, কিন্তু জুয়া খেলিতে গিয়া হারিয়াই আসুক, বা কাহারও নিকট অপমানিত হইয়াই আসুক, তাহার পদার্পণেই বুঝিতে পারা গেল, সে দিন তাহাব মেজাজ আতিশয় গরম । মানুষের দয়া মায়া থাকিলে, এমন সময়ে, এমন ব্যক্তিকে আর সে চিঠি দেখায় না ; কিন্তু মুখুয্যে গৃহিণীর বধুদিগের প্রতি সে দয়া মায়া নাই ; সুতরাং বাড়ীতে প্ৰবেশ মাত্র সে চিঠিখানি তিনি জ্ঞানেন্দ্ৰকে পড়িতে দিলেন । অবশ্য ইহা বলা নিম্প্রয়োজন যে তাহাতে জ্ঞানেন্দ্রের স্বভাব চরিত্রের কথা কিছু কিছু ছিল । সেই দুর্দান্ত দানবসমান যুবক তাহ দেখিয়া কি আর স্থির থাকিতে পারে ? একখানি প্ৰকাণ্ড চেলা কাঠ লইয়া নিজ গৃহাভিমুখে ধাবিত হইল। গৃহিণী। “ওরে মারিসনে মারিসনে” বলিয়া সঙ্গে চলিলেন বটে, কিন্তু তিনি গিয়া ধরিবার পূর্বেই প্রচার আরম্ভ হইয়াছে। ভুবনেশ্বরী প্ৰথমে হস্তের দ্বারা উদ্যত কাষ্ঠের আঘাত হইতে আপনাকে রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছে, কিন্তু সজোরে সেই কাষ্ঠ যখন তাহার মস্তকের উপর পড়িল, তখন কেবল একবার-“ম-অ-অ” করিয়া একটা শব্দ হইল, তৎপরেই নীরব। গৃহিণী। গিয়া দেখেন ভুবনেশ্বরী অচেতন