পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ ORÐ এত কথা জানি ? ওরা বলে বিধবার বিয়ে শাস্ত্ৰে আছে, বিদ্যেসাগর । প্ৰমাণ করেছে, এতে দোষ কি, ওর ত বিয়ে হয় নাই বলতে হবে ; তাই । আমি বলেছি। তবে হোক।” ভগিনীকে গড়িতে মিত্ৰজ মহাশয়ের আর বিলম্ব হইল না। কিরূপে তীর্থযাত্রা হইবে, কোথায় কাঠাদের সঙ্গে । থাকা হইবে, খরচপত্রের কি ঠাইবে, সমুদায় পরামর্শ স্থির छे॥ झश्व्यःि । '. গৃহিণীকে প্রশংসা করিতে হইবে যে, তিনি এতটা গুপ্ত কথা গোপন রাথিতে পারিলেন। বাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়া পুত্ৰাদিগকে কিছুই বলিলেন না । মাঘ মাস পড়িলেই মিত্ৰজ মহাশয় ভগিনীকে ও কৃষ্ণকামিনীকে নিজ ভবনে কয়েকদিন রাখিবার জন্য লইয়া গেলেন । কাহারও মনে কোনও প্রকার সন্দেহ হইল না। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই পুত্রদ্বয়ের নিকট । সংবাদ আসিল যে মাতুল কন্যাসত জননীকে কোথায় প্রেরণ করিয়াছেন । শুনিবা মাত্র ব্রজরাজ মাতুলালয়ে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন। মাতুল বলিলেন, “ভাবনা কি ? জলে ত পড়ে নি! পাড়ার কতকগুলি লোক তীর্থে যাচ্ছিল, সেই সঙ্গে তারাও তীর্থে গিয়েছে। কয়েক মাস পরেই আবার আসবে।” ব্রজ রাজ তাহদের ঠিকানা জানিতে চাহিলেন। মাতুল । হাসিয়া বলিলেন,-“তারা রেলপথে, ঠিকানা দেব কি করে ? ক্ৰমে । জানতে পারবে।” তৎপরে দিনের পর দিন যাইতে লাগিল, সৰ্ব্বদাই । এবাড়ী হইতে ঠিকানা জানিবার জন্য লোক যায়, মাতুল ঠিকানা না দিয়া । ফিরাইয়া দেন। ব্রজরাজ ও মথুরেশ উভয়েই ঘোর দুশ্চিন্তাতে বাস । করিতে লাগিলেন, ও মাতুলের প্রতি বৃথা আক্রোশ প্রকাশ করিতে । লাগিলেন । ওদিকে ফরিদপুরে নবীনচন্দ্রের নিকট এই সংবাদ পৌঁছিল। তিনি । একেবারে অস্থির হইয়া উঠিলেন। ভাবিতে লাগিলেন,-"কৃষ্ণ- ,