পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MONObr যুগান্তর করিগো-ও-ও”, প্ৰভৃতি হাকিয়া যাইত। উমাশঙ্কর এইরূপ একটা স্ত্রীলোককে টাকা দিয়া হাত করিল, এবং তাহার দ্বারা চিঠিপত্র চালাচালি আরম্ভ করিল। স্ত্রীলোকদিগের অন্তঃপুরে এই বেদের মেয়েদের অবারিত গতি ; সুতরাং সে অবাধে গিয়া মাতঙ্গিনীর সহিত কথা কাহিত, এবং একটু নির্জন হইলে চিঠিপত্র দিত ও আনিত । এইরূপে চিঠিপত্ৰ চালিতে লাগিল; জন-মানব কেহই জানিতে পারিল না । কয়েক মাস পরে মিত্ৰজ মহাশয় এবং মাতঙ্গিনীর দেবীর উভয়েরই বিশ্বাস জন্মিলা যে আর তাহাদের আশঙ্কার কারণ নাই। তখন তাহারা মাতঙ্গিনীকে পূর্বের ন্যায় একজন চাকরাণী সঙ্গে গাড়ি করিয়া এক বাড়ী হইতে আর এক বাড়ীতে যাইতে দিতেন। মাতঙ্গিন মধ্যে মধ্যে দেবরের বাড়ী হইতে, পিত্ৰালয়ে যাইত। একদিন জানিতে পারা গেল যে সে বেলা ১১টা কি ১২টার সময়ে বাগবাজারের বাড়ী হইতে গাড়ি করিয়া বাহির হইয়াছিল, কিন্তু ৫টার পূৰ্ব্বে বাতির সিমলাতে দেবরের বাড়ীতে পৌঁছে নাই। সঙ্গে বামী চাকরাণী ছিল । মাতঙ্গিনীর দেবার এই বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করাতে মাতঙ্গিনী বলিল যে, পথে আসিবার সময় তাহার ভগিনীর অর্থাৎ ব্ৰজরাজের মাতার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আসিয়াছে। তাহার দেবার গুরুচরণ দত্ত আতি ভদ্রলোক, তিনি তাহাই বিশ্বাস করিলেন। অথচ মাতঙ্গিনী সেদিন ব্ৰজ রাজদিগের বাড়ীতে যায় নাই । তৎপরে মাতঙ্গিনী যেদিন এক বাড়ী হইতে আর এক বাড়ীতে পৌছতে বিলম্ব কিরিত, সে দিন একবার নামমাত্র ব্রজরাজদিগের ভবনে পদাৰ্পণ করিয়া যাহত। যেন বলিতে পারে সে সেখানে গিয়াছিল। যে পৌষমাসে কৃষ্ণকামিনীর বিবাহ সম্বন্ধের সংবাদ মিত্ৰজ মহাশয়ের কর্ণগোচর হয়, সেই পৌষমাসে একদিন মথুরেশ আসিয়া স্বীয় জননীকে বলিলেন,-“দেখ মা,