পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOd ग्रूशालुका স্বভাব ও ক্ষমাশীল যে আপনাকে এই অযথা নিন্দ হইতে রক্ষা করিবার জন্যও কিছু করিতে প্ৰস্তুত নহেন। এই সকল গোলমাল কাটিয়া যাইতে প্ৰায় পুজার সময় উপস্থিত হইল। পূজার সময়ে নবীন ও কৃষ্ণ কামিনীর কলিকাতাতে যাইবার কথা ছিল ; কিন্তু এবারে তঁহারা বিশেষ কাৰ্য্যে ফরিদপুরেই আবদ্ধ হইয়। পড়িলেন । এবারে পদ্মার জল ভয়ানক বাড়িয়াছে ; চারিদিকের গ্রামসকল জল-প্লাবিত হইয়া গিয়াছে ; শত শত দরিদ্র লোক গৃহ-হীন হইয়া ফরিদপুর সহরে আসিয়াছে ; তাহদের উদ4ে অন্ন নাই ; মস্তক রাখিবার স্থান নাই। এই দুর্ঘটনা ঘটিবামাত্র নবীনচন্দ্ৰ তাহার কতিপয় বন্ধুর সহিত সম্মিলিত হইয়া একটা রিলীফ কমিটী (সাহায্যসভা ) গঠন করিলেন ; এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ও জেলার অন্যান্য পদস্থ লোকদের নিকট হইতে টাকা তুলিলেন, এবং কলিকাতার নবরত্ন সভার বন্ধুদিগের দ্বারা অর্থ সংগ্ৰহ করিলেন ; তদ্বারা তাহার ভবনের অনতিদূরে একটা উচ্চ ভূমির উপর ঐ সকল লোকের থাকিবার জন্য শীঘ্র শীঘ্ৰ কতকগুলি চালা নিৰ্ম্মাণ করিয়া ফেলিলেন । সেই চালাতে তাঙ্গারা মস্তক রাখিবার স্থান পাইল। তৎপরে, তাহাদিগকে কাৰ্য্যে ব্যস্ত রাখিবার জন্য, ম্যাজিষ্ট্রেটের হুকুম লইয়া, কয়েকটি পুরাতন রাস্তাতে মাটি ফেলিয়া মেরামত আরম্ভ করিলেন, এবং কয়েক জন লোক নিযুক্ত করিয়া তাহাদিগকে প্রতিদিন চাউল বিতরণ করিতে লাগিলেন । এমন শৃঙ্খলা ও সুব্যবস্থার সহিত এই কাৰ্য্য চলিতে লাগিল, যে এক দিন ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব নবীনচন্দ্ৰকে বলিলেন,-“তোমার হেড মাষ্টার না থাকিয়া ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়াই উচিত ছিল ; তোমার কাজ করিবার শক্তি অদ্ভুত দেখিতেছি।” নবীনচন্দ্ৰ এই সকল কাৰ্য্যে ব্যস্ত । ও-দিকে কৃষ্ণ কামিনী বাগচী মহাশয়কে সঙ্গে করিয়া দরিদ্রদের চালায় চালায় ঘুরিতেছেন, ও কে