পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ూచిe যোগতত্ত্ব-বারিধি । অতঃপর সমাধির কথা বলিব,— তদেবার্থমাত্রনির্ভাসং স্বরূপশূন্তমিব সমাধি । ধ্যান যখন ধ্যেয়বস্তুকেই প্রকাশ করে, তখনই তাহাকে সমাধি বলে। শাস্ত্র বলেন,— তস্তৈব কল্পনাহীনং স্বরূপগ্রহণং হি যৎ । মনসা ধ্যাননিম্পাদ্যং সমাধি: সোহভিধীয়তে ॥ সমাধি, ধ্যানের গাঢ়তাকে বলা যাইতে পারে । এরূপ গাঢ় হইবে যে, ধ্যান-জ্ঞানও থাকিবে না । চিত্ত তখন সম্পূর্ণভাবে ধ্যেয় বস্তুতে লীন হইয়া ধ্যেয়ণকার প্রাপ্ত হইবে । এই তোমার নিকটে অষ্টাঙ্গযোগের কথা বলিলাম,—পর পর এই গুলির সাধনা করিতে হয় । বলা বাহুল্য, মনের বলই যোগসাধনার অবলম্বন । দৃঢ়তা সহকারে সাধন-পথে অগ্রসর হইতে হয় । সপ্তম পরিচ্ছেদ । সংযম ও বিভূতিলাভ । শিষ্য । যোগিগণ যোগবলে অদ্ভুত অদ্ভূত ক্ষমতা লাভ করিয়া থাকেন, কি প্রকারে তাহা লাভ হয়, এবং সেই ক্ষমতাগুলি কি, তাহা আমাকে উপদেশ দিয়া কৃতাৰ্থ করুন । গুরু । যোগিগণের যে সকল অদ্ভূত ক্ষমতা লাভ হয়, তাহা সংযমের বলে সাধিত হইয়া থাকে। সংযমকে ইংরাজী ভাষায় Concentration or svill force বলা যাইতে পারে।