পাতা:যোগ-সাধন.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১২ ) ও প্রাণ বিহীন কথা মাত্র শুনিয়া তাহারা উঠিয়া যান। ইহার কারণ কি ?—ঐ অধ্যাত্মিক সহানুভূতিই ইহার মূল। যেরূপ আচার্য্যের সত্য প্রার্থনা উপাসক দিগের প্রাণ স্পর্শ করে ও র্ত হাদের প্রাণে ও জাগ্রত প্রার্থনার উদয় করিয়া দেয়, সেইরূপ অপর দিকে উপাসক দিগের মধ্যে যদি কাহtরও প্রাণে বাস্তবিক সত্য প্রার্থনা জাগ্রত হয় তাহ হইলেও ঐরূপ ঘটনা হইয়া থাকে। হয়ত আচাৰ্য্য নীরস ভাবে শুষ্ক কতকগুলি কথা মাত্র উচ্চারণ করিতে ছিলেন, কাহার ও প্রাণ ভিজিতে ছিল না, হঠাৎ ঐ সৌভাগ্যবান উপাসকের জীবন্ত প্রার্থনার ভাব আধ্যাত্মিক সহানুভূতি বশতঃ আচার্য্যের এবং অনেক উপাসকের প্রাণে সংক্রামিত হইয়া র্তাহাদিগকে একেবারে বিহবল করিয়া তোলে। এই নিয়মানুসারেই প্রতি বৎসর উৎসবাদিতে এইরূপ ঘটনা অনেক দেখা যায় । এখন বুঝা যাইবে যে, কেহ প্রকৃত ল্যাকুলতার সহিত ঐ প্রার্থনার অবস্থা আপনার প্রাণে অবতীর্ণ করিবার জন্ত ইচ্ছুক হইলে কোন জাগ্রত শক্তিশালী পুরুষ নিজের ইচ্ছ। শক্তিতে ও ভগবানের কৃপা সস্তৃত নিয়মানুসারে নিজের তাভ্যন্তরীণ প্রার্থনার অবস্থা তাহার প্রাণে সংক্রামিত করিয়া দিতে পারেন। বস্তুতও তাই হয় ; যিনি নিতান্ত ব্যাকুল প্রাণে প্রার্থী হন আমি সমস্ত প্রাণের সহিত র্তাহার সম্মুখে প্রার্থনা করি। এবং এই সময়ে আমার পুজনীয় গুরু শ্ৰীযুত পরমহংস বাবাজী সাহায্য করিয়া থাকেন। ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি হইলে অল্পক্ষণের মধ্যেই ঐ ব্যক্তির হৃদয়ে সেইরূপ