পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৯, ৪র্থ সংখ্যা ] উদ্ভিদ--তাহার উপকরণ ও বৰ্দ্ধন । হইয়া থাকে,--যে পৰ্য্যন্ত কেবল মাত্র ধাতব পদাৰ্থ ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ প্রথম এবং DDBB BBDBDDD DDDD BBSDBDBS BDSLSS BB BBDtBBS SBBDS SDDDSS S DBD S SDD বালিতে যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ দেওয়া হইলে পাতাগুলির বর্ণ তৎক্ষণাৎ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গাঢ় সবুজে পরিণত এবং তাহার সতেজ বদ্ধনের আশা হয়। কিন্তু এই আশাপ্রদ দৃশ্য প্ৰতারণামাত্ৰ, কারণ ফসল অতি ক্ষীণ এবং সামান্যই হয় । এ পর্য্যন্ত ফসলের দৈন্যই লক্ষিত হইল। চতুর্থ পরীক্ষা প্ৰথম তিনটির সমীকরণ মাত্র । এবার দগ্ধ বালির সহিত ধাতব পদার্থগুলি এবং যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ উভয় একত্ৰ যোগ দিয়া গোপূম বপন করিলে, তাহার ফল পূৰ্ব্ববৰ্ত্ত তৃতীয় পরীক্ষার তুলনায় প্ৰহেলিকার মত বোধ হয়। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ক্ষীণ, মৃতপ্রায় এবং পাংগুল উদ্ভিদের পরিবর্তে এবার অতি সুন্দর সবুজ পত্র বিশিষ্ট সবল ও দৃঢ় কাণ্ডোপরির সুন্দর শস্যপরিপূর্ণ শীর্ষসমন্বিত DBD BB DBD S K Lk0 BDuSD0 S KBBS DDB0 BDDD DBBDBD DHJC S0K DS BBD খামার বাড়ীর পশ্বাদির সার না দিয়া কৃত্ৰিম উপায়ে উদ্ভিদের পূর্ণ বদ্ধনে কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায়। এই বিষয়টি গুরুতর হইলে ও ইহার মধ্যে কোন গুহ্য বিষয় অথবা অনিদিষ্ট শক্তি নাই । ক একটি বীজ, সমাক জ্ঞাত ক একটি রাসায়নিক পদার্থ এবং বিশুদ্ধ চোয়ান জলের সমবায় ফল অতি উৎকৃষ্ট জমিতে উৎপন্ন ফসলের সহিত সৰ্ব্ববিষয় তুল্য। উদ্ভিদদেহ বৰ্দ্ধন এবং গঠন বিষয়ে কোন কোন উপাদান প্রয়োজন এবং ঐ সকল উপাদানের মধ্যে কাহার কি প্রকার ক্রিয়াশক্তি তাহা বিবৃত হইল। ধাতব পদার্থ অপেক্ষা যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ প্রয়োগে কিঞ্চিৎ ভাল ফল হয় । কিন্তু যবক্ষণারজান-ঘটিত পদার্থ এবং প্রয়োজনীয় ধাতব পদার্থের যোগ ভিন্ন ভাল ফসল পাওয়া যাইতে পারে না । দগ্ধ বালি পরিত্যাগ করিয়া সাধারণ মৃত্তিকাতে উদ্ভিদ উৎপন্ন করিতে হইলে দশটি ধাতব পদাৰ্থ ব্যবহার না করিয়া কেবলমাত্র ফসফোরস, পোটাস এবং চূণ এই তিনটি পদাৰ্থ ব্যবহার করিলেও কোন অসুবিধা হয় না । এই নূতন তত্ত্ব প্ৰমাণ করিতে হইলে এক খণ্ড ভূমিতে যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ এবং দশটি ধাতব পদার্থ, তৎপার্শ্বস্থ অপর ভূমিখণ্ডে যবক্ষারজান ঘটিত পদার্থ এবং ক্যালসিক ফসফেট, পোটাস এবং চূণ এই তিনটি ধাতব পদার্থ যোগ কর, দেখিবে ফসল সৰ্ব্ববিষয়ে সমান হইয়াছে। কিন্তু দগ্ধ বালিতে দশটি ধাতব পদার্থ না দিয়া কেবলমাত্র তিনটি দিলে ঐ সাতটির অভাব জন্য উদ্ভিদের বর্দন অসম্ভব। অথচ সাধারণ জমিতে ঐ সাতটির অভাবে কোন ক্ষতি হয় না । সুতরাং বুঝিতে হইবে, সাধারণ মৃত্তিকাতে ঐ সাতটি উপকরণ যথেষ্ট আছে। অতএব যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ, ক্যালসিক ফসফেট, পোটাস এবং চূণ, কেবল এই চারিটি পদার্থের যোগই জমির উর্বরতাসাধন বিষয়ে সম্যক উপযোগী। সেই জন্যই এই চারিটি পদার্থের মিশ্রণে সারকে “পূর্ণাঙ্গসার” নামকরণ করা হইয়াছে।