পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষদের রামমোহন যখন রঙ্গপুর কালেক্টরের সেরেস্তাদারী কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন, মাহিগঞ্জ নামক নগর উপান্ত-পল্লীতে র্তাহার রম্যনিকেতন বহুকাল প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইহাই তাহার বাস্তব জীবনের শিক্ষাদীক্ষার আদি স্থান। আজও সেই পরিত্যক্ত পল্লীর বৃক্ষলতা সমাচ্ছাদিত পিককুহরিত একটি স্থান রামমোহনের প্ৰি য়নিকেতন বলিয়া চিহ্নিত হইয়া থাকে। কাল সঙ্ঘাতে সেই নির্জন স্থান হইতে এই পুণ্যস্মৃতি একেবারে মুছিয়। যাইবার পূর্বে বঙ্গবাসী নরনারীকে তাহার রক্ষায় তৎপর হইতে হইবে। মহাপুরুষের এই আদিলীলা নিকেতন বঙ্গবাসীর পক্ষে তীর্থরূপে পরিগণিত হইয়া যখন সহস্ৰ সহস্র ভক্ত যাত্রী নিয়ত আকর্ষণ করিবে, তখনই জানিব তাহারা গুণ-গ্ৰহণের পক্ষপাতী এবং আন্তরিকতায় আত্মহারা হইয়াছেন । কৰ্ম্মজীবনের সূচনায় উত্তরবঙ্গ যাহাকে সস্নেহে ক্ৰোড়ে ধারণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিল, কৰ্ম্মাবসানে তাহার এই প্রিয়নিকেতন পরিচিহ্নিত করিয়া রাখিতে অবশ্যই অগ্রসর হইবে । রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ এ বিষয়ে অগ্ৰণী হইয়াছেন, বঙ্গবাসী নরনারী তাঁহাকে মুষ্টিভি ক্ষা প্ৰদান করুন , ইহা বহুব্যয় সাপেক্ষ নহে। দেশবাসীর মুষ্টিভিক্ষাতেই পরিষদের বুলি পূর্ণ হইয়া এই পুণ্যস্মৃতি রক্ষিত হুইবে । শ্ৰীযুক্ত নরেন্দ্ৰনাথ নিয়োগী সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট মহাশয় কর্তৃক সম্পাদক মহাশয়ের উখপিত বিষয়টি সমর্থিত হইলে সর্বসম্মতিতে মহাত্মা রামমোহন রায়ের রঙ্গপুরস্থ বাসভবনের স্থানে একখানি স্মৃতিফলক প্ৰতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হইল। উক্ত স্থান পরিদর্শন করিয়া তদ্বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবার ভার উক্ত নিয়োগী মহাশয়ের উপরে অৰ্পিত হইল। এই প্রসঙ্গে শ্ৰীহট্টের প্ৰসিদ্ধ সাহিত্যিক শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ চৌধুরী বি, এ, মহাশয়ের সহানুভূতি জ্ঞাপক পত্র পঠিত श्रेण। স্বৰ্গীয় সখারাম গণেশ দেউস্কর ও স্বৰ্গীয় পণ্ডিত মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি মহোদয়দ্বয়ের পরলোক গমনে এ সভার পক্ষ হইতে শোক প্ৰকাশ করিবার নিমিত্ত শ্ৰীমুক্ত পণ্ডিত অন্নদাচরণবিদ্যালঙ্কার মহাশয় প্রস্তাব করিলে শ্ৰীযুক্ত গণেন্দ্রনাথ পণ্ডিত মহাশয় তাহ সমৰ্থন করিলেন। তাহাদের উত্তাধিকারিগণের নিকটে সত্ত্বন-জ্ঞাপক পত্র পাঠাইবার ব্যবস্থাসহ এই প্ৰস্তাব পরিগৃহীত হইল। লেখকের অনুপস্থিতিতে শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত অন্নদাচরণ বিদ্যালঙ্কার য়হাশয় শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত অম্বিকাচরণ কাব্যতীর্থ বিদ্যাবাচস্পতি মহাশয়ের রচিত "ময়মনসিংহে ন্যায়চর্চা” প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন। অতঃপর ঐ কারণে শ্ৰীযুক্ত সম্পাদক মহাশয় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের রচিত “আমরাজ ও কুমার পাল” শীৰ্ষক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন। প্ৰথম প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে মতামত আহুত হইলে উপস্থিত সভ্যগণ কোন মত প্ৰকাশ না করায় সভাপতি মহাশয় বলিলেন, প্ৰবন্ধ রচয়িতা যে বংশের প্রধান পুরুষদিগের নামোচ্চারণ পূর্বক প্ৰৱন্ধ রচনা করিয়াছেন, ঐ বংশের সহিত আমি সম্পূর্ণরূপে পরিচিত, এই নিমিত্ত বলিতে সাংলা করি যে, প্রবন্ধের বিষয় যথাযথারূপে লিখিত হইয়াছে। ময়মনসিংহে অনেক শাস্ত্ৰবিৎ ৪