প্রদান করিতে পারিব না। নিতান্ত না ছাড়েন, চারিশত এক টাকা প্রদান করিব।”
বরের পিতা দেখিলেন, তিনি যাহা যাহা চাহিয়াছিলেন, রামরতন প্রায় তাহাতেই স্বীকৃত হইলেন, অপরাপর দ্রব্যের মধ্য হইতে কেবল কমাইলেন—একশত টাকা মূল্যের চেলী, রৌপ্য ষাট টাকা, পিত্তল-কাসা পঞ্চাশ টাকা, খাট বিছানা দুইশত টাকা ও নমস্কারী প্রভৃতি চারিশত টাকা, মোট আটশত দশ টাকা। কিন্ত নগদ টাকা প্রায় দিতে চাহিতেছেন না। অপরাপর দ্রব্যের নিমিত্ত তিনি একরূপ সম্মত হইলেন; কিন্ত নগদ টাকা একবারে পরিত্যাগ করিতে কিছুতেই সম্মত হইলেন না। অনেক কসা-মাজার পর চারি হাজার এক টাকার পরিবর্ত্তে এক হাজার পাঁচশত এক টাকায় তিনি সম্মত হইলেন।
দেনা-পাওনার বিষয় স্থির হইয়া গেলে, কত ওজনের কি কি অলঙ্কার প্রস্তুত করিতে হইবে, রামরতন তাহার একটী তালিকা লইয়া আপন স্থানে প্রস্থান করিলেন। বিবাহের দিন স্থির হইল। উভয়পক্ষেই বিবাহের উদ্যোগ আরস্ত হইল। রামরতন অলঙ্কার-পত্র সকলের বন্দোবস্ত করিতে লাগিলেন।
যাঁহার এত টাকার সঙ্গতি নাই, তিনি কিরূপে এই সকল অলঙ্কার-পত্রের সংগ্রহ করিলেন, তাহা কি পাঠকগণ অবগত হইতে চাহেন?
সোণার ঘড়ির পরিবর্ত্তে চল্লিশ টাকা মূল্যের একটী রৌপ্য ঘড়ি ক্রয় করিয়া তাহাতে সুবর্ণের গিল্টি করিয়া লইলেন। চেন, গার্ডচেন, অলঙ্কার গ্রতৃতি যাহা যাহা সুবর্ণের দ্রব্য দেওয়ার কথা ছিল, তাহার সমস্তই পিত্তলের ক্রয় করিয়া, তাহা ভাল