পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन्क्रिमॆी ঐ যে সর্দার এসেচে। তুমি একটু সামলে কথা বোলো। সর্দার কি গো, ৬৯ঙ, সকলেরই সঙ্গে তোমার প্রণয়, বাছবিচার নেই। বিশু এমন কি, তোমার সঙ্গেও সুরু হয়েছিল, রাখতে পারলুম না। সর্দার কি নিয়ে আলাপ চলচে ? বিশু তোমাদের দুর্গ থেকে কি করে বেরিয়ে আসা যায় সেই পরামর্শ করচি। WO রেখেচে । কিন্তু তোর সামনে মনটা স্পৰ্দ্ধিত হয়ে ওঠে ; সাবধান হতে ঘৃণা বোধ হয়। नन्क्रिनैी না পাগলা, বিপদকে ডেকে এনোনা । বিশু ডাকব কেন, সে আপনিই পথে পথে অপেক্ষা করে বসে আচে । হঠাৎ দেখা হবার ভয়ে কি পথ চলাই বন্ধ করব, চোখ বুজে মন্ত্র জপব যে, সে নেই, সে নেই । সে খুবই আছে। তার সঙ্গে বোঝাপড়া চুকিয়ে দিতেই হবে। नन्मिनी পাগল ভাই, তোমার ত ভয় নেই, কিন্তু তোমার জন্যে আমি যে ভয় পাই। বিশু না, না, অমন কথা বলিসনে । তুই যে আমার কি তা আমি তোকে আজ খুলে বলি। তুই নদীর মত, নিজেই ভালো করে জানিসনে যে, তোর এক কুলে প্রাণ, আর এক কুলে মৃত্যু। রঞ্জন স্থান পেয়েচে সেই প্রাণের কুলে, আর আমি পেয়েছি তার ও পারটাতে। সে পারে আঁকড়ে ধরবার কিছুই নেই। আমি ভয় করব কিসের ? তুই সম্পূর্ণ করে পাবি আমার মরণের মধ্যেই । नन्नििर्नी ঐ যে সর্দার এসেচে। একটু সাবধানে কথা বোলো । সর্দারের প্রবেশ সর্দার কি গে উনসত্তর ও সকলেরই সঙ্গে যে তোমার প্রণয় ? বাছবিচার নেই। বিশু এমন কি, তোমার সঙ্গেও শুরু হয়েছিল, বাছবিচার করতে গিয়েই বেধে গেল । こ S)>