পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○(? と。 'নন্দিনী, রাগ করেচ তুমি ? তোমার গলার হারে রক্তকরবীর রাগিণী শুনতে পাচ্চি। রাঙা সুর ফুটে উঠল। br অধ্যাপক ওটা হল রাগের কথা। বড়কে দেখে আশ্চৰ্য্য হয়েচ সেই বড় হবার একটা নিয়ম আছে। তাকে রাক্ষস বলে গাল দিলেও সে নিয়ম,— সে ভালোও নয়, মন্দও নয়। যেটা হয় সেটা হয়, তার বিরুদ্ধে যাওয়া হওয়ারই বিরুদ্ধে যাওয়া । নন্দিনী চাইনে আমি হওয়া। এই যদি মানুষের হওয়ার রাস্তা হয় তাহলে মানুষের না হওয়াই ভালো। আমি ঐ ছায়াদের সঙ্গেই চলে যাব, আমাকে রাস্তা দেখিয়ে দাও । । অধ্যাপক রাস্তা দেখাবার দিন এলে এরাই দেখাবে, তার পূৰ্ব্বে রাস্তা বলে কোনো বালাই নেই। দেখ না, পুরাণবাগীশ আস্তে আস্তে কখন সরে পড়েচেন, ভেবেচেন পালিয়ে বাঁচবেন। একটু এগোলেই বুঝবেন বেড়াজাল এখান থেকে সুরু করে বহু যোজন দূর পর্যন্ত খুঁটিতে খুঁটিতে বাঁধা। নন্দিনী, রাগ করচ তুমি ? তোমার রক্তকরবী আজ প্রলয়ের গোধূলির রঙ ধরেচে। ని অধ্যাপক তত্ত্বের উপর রাগ করা মিছে। সে ভালোও নয় মন্দও নয়। যেটা হয়, সেটা হয়, তার বিরুদ্ধে যাও ত হওয়ারই বিরুদ্ধে যাবে। नन्निनैी এই যদি মানুষের হওয়ার রাস্তা হয়, তাহলে চাইনে আমি হওয়া। আমি ঐ ছায়াদের সঙ্গে চলে যাব— আমাকে রাস্তা দেখিয়ে দাও । অধ্যাপক রাস্তা দেখাবার দিন এলে এরাই দেখাবে, তার আগে রাস্তা বলে কোন বালাই নেই। দেখ না পুরাণবাগীশ আস্তে আস্তে কখন সরে পড়েচেন, ভেবেচেন পালিয়ে বাঁচবেন। একটু এগোলেই বুঝবেন বেড়াজাল এখান থেকে সুরু করে বহু যোজন দূর পর্যন্ত খুঁটিতে খুঁটিতে বাঁধা। নন্দিনী, রাগ করচ তুমি । তোমার কপোলে S ෆ অপরিবর্তিত ।