পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(2aO ৯ গীতমালিকা ১ম (স্বরবিতান ৩০), ২য় সংস্করণ ১৩৪৫, দিনেন্দ্রনাথ-কৃত স্বরলিপি, সম্পাদনা শৈলজারঞ্জন মজুমদার : ১০ গীতমালিকা, ১ম (স্বরবিতান ৩০), পুনমুদ্রণ : তারিখ ? ১১ গীতবিতান ২য়, নূতন সংস্করণ ১৩৫৪ : ১২ অখণ্ড সূচিসহ একত্র প্রকাশ, আশ্বিন ১৩৬৭-কান্নাধারার দোলা...’ রক্তকরবীর খসড়াগুলিতেও কান্নাধারার দোলা পাঠই আছে। গানের মধ্যে কীভাবে কখন কান্নাধারার পরিবর্তে ‘কান্নাহাসির পাঠান্তর ঘটল, তা অনুসন্ধানের বিষয়। ‘রক্তকরবীর ২-সংখ্যক খসড়ায় (পাণ্ডুলিপি সংখ্যা-151(v) ‘নাট্য পরিচয় শীর্ষক একটি ভূমিকায় বা প্রতিবেদনে রবীন্দ্রনাথ নাটকটির বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ‘রক্তকরবী'র প্রচলিত সংস্করণে এই ‘নাট্যপরিচয় মুদ্রিত হয়ে আসছে। এই প্রতিবেদনটি এখানে উদ্ধৃত হল : এই নাটকটি সত্যমূলক। এর ঘটনাটি কোথাও ঘটেচে কিনা ঐতিহাসিকের পরে তার প্রমাণ সংগ্রহের ভার দিলে পাঠকদের বঞ্চিত হতে হবে । এইটুকু বললেই যথেষ্ট যে কবির জ্ঞান বিশ্বাস মতে এটি সম্পূর্ণ সত্য। ঘটনাস্থলটির প্রকৃত নামটি কি সে সম্বন্ধে ভৌগোলিকের মতভেদ থাকা সম্ভব। কিন্তু সকলেই জানেন এর ডাক নাম যক্ষপুরী। পণ্ডিতরা বলেন পৌরাণিক যক্ষপুরীতে ধন-দেবতা কুবেরের স্বর্ণ-সিংহাসন। কিন্তু এ নাটকটি একেবারেই পৌরাণিক কালের নয়। একে রূপকও বলা যায় না। যে জায়গাটার কথা হচ্ছে এখানে মাটির নীচে যক্ষের ধন পোতা আছে। তাই সন্ধান পেয়ে পাতালে সুরঙ্গ খোদাই চলচে, এইজন্যেই লোকে আদর করে একে যক্ষপুরী নাম দিয়েচে । এই নাটকে এখানকার সুরঙ্গ খোদাইকরদের সঙ্গে যথাকালে আমাদের পরিচয় হবে । যক্ষপুরীর রাজার প্রকৃত নাম সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতের ঐক্য কেউ প্রত্যাশা করে না। এইটুকু জানি যে এর একটি ডাক নাম আছে—মকররাজ । যথাসময়ে লোকমুখে এই নামকরণের কারণ বোঝা যাবে। রাজমহলের বাহির দেয়ালে একটি জালের জানলা আছে। সেই জালের আড়াল থেকে মকররাজ তাঁর ইচ্ছামতো পরিমাণে মানুষের সঙ্গে দেখাশোনা করে থাকেন। কেন তাঁর এমনতর অদ্ভুত ব্যবহার তা নিয়ে নাটকের পাত্ৰগণ যেটুকু আলাপ-আলোচনা করেচেন তার বেশি আমরা কিছু জানি নে । এই রাজ্যের যাঁরা সর্দার তাঁরা যোগ্য লোক এবং যাকে বলে বহুদশী । রাজার তাঁরা অন্তরঙ্গ পার্ষদ। তাঁদের সতর্ক ব্যবস্থাগুণে খোদাইকরদের কাজের