বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 রঙ্গমল্পী তবু, তবু মনে হয়, দুব হ’তে এসেছে আহবান,— কানে কানে কহিছে কে ! কে আমারে ডাকে যেন ‘আয় ।” মন্দ্র মৃদ্ধ দৃঢ় সেই স্বর। এ যেন স্বর্গেব ডাক ! পিতার মমতা-পাশ, পতিপ্রেম, সন্তানেব সাধ, সকলেব চেয়ে বড়,—সল চেয়ে বড় এ আহবান ! মনে হয় বিচার-বিতর্ক-ভোলা এই সে আহবানে পঙ্গু করে পর্বত লঙ্ঘন, আঁখি মুদি নত করি’ শির ! বুঝি এ আহবান জগতের তপস্বী আত্মার উৰ্দ্ধবাহু, উৰ্দ্ধমুখ ! এ আহবান সতীর চিতার, জগতের দুর্গমচারীর সংমিলিত এ আহবান,— মৃত্যুতে অমর যারা,—সেই সব বীরের এ ডাক । পারিব মরিতে আমি, এ পাত্র কবিব আমি পান। চোখে মোর নাই জল, প্রাণে নাই ভয়ের স্পন্দন, বন্ধ হ’য়ে যাবে,—তবু হৃৎপিও দোণে শান্ত তালে । মনে হয়—যেন কারা শূন্তে মোরে নিতে চায় তুলে, কে কুমাৰী বেড়িয়ছে কণ্ঠ মোব নিজ ভূজপাশে, কে কিশোরী পাণ্ডু হাসি হাসে মোর পানে চেয়ে চেয়ে । এমন মবণ হয় কার?—হেন গৌরবের মৃত্যু ? স্বাখ তোরা বৈশালীর লোক ! বৈশালী সে রক্ষা হল, আমি মরিলাম ; মোরে বলি দিয়ে—মুক্ত হল দেশ । দুঃখ কিছু নাই পিতা, আশীৰ্ব্বাদ নিয়েছি যেমন— শির পেতে চিরদিন, তেমনি নেব এ অস্ত্রাঘাত। ব্যথা, ওগো ! সহিতে রহিলে তুমি, পিতা ; আমার এ ক্ষণিক বেদন,—তাৰ সনে তুলনায়। ষ্মর পিতা