পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । لك فرا আমার শক্তি আছে । ( বাহুবলে শক্ৰধনুতে গুণ প্রদান-ও কোলাহল শব্দ ) রাজা । যুবরাজ, তোমার বাহুবল ধন্য! তুমি সাম্রাজ্য শাসনেরও যোগ্য । অার এক সমস্যা অাছে, তাহাতে মনোযোগ কর । এই যবনিকার অভ্যন্তরে ক্ষণপ্রভাসহ সাত জন রাজকুমারী সারি সারি বসিয়া অাছে, তাহদের তর্জনীমাত্র যবনিকার বাহিরে আছে। যদি ক্ষণপ্রভার অঙ্গুরী একেবারে লক্ষ্য করিতে পার, তবে সে তোমার যথার্থ প্রণয়িনী, ও তুমি তার স্বামী । নচেৎ আকৃতাৰ্থ হইলে রজভগিরি-শৃঙ্গে চিরদিন কারাবাসে থাকিতে হইবে । রাজকু । (চিন্তার সহিত স্বগত) এ বড় বিষম সমস্যা ! একাকৃতি সাতটা অস্কুলীর মধ্যে ক্ষণপ্রভার অঙ্গুলী একেবারে লক্ষ্য করা সামান্য কঠিন ব্যাপার নহে । যদি দেবতা সদয় হন, তবেইত ভাল, নচেৎ রজতগিরিশৃঙ্গে দেহপাত হবে । কিন্তু দেখচি যে একটা অঙ্গুলীর নিকট মধুমক্ষিক গুণ গুণ কচ্চে । পদ্মিনীর নিকট ভিন্ন মধুকর কেন যাবে ? বোধ হয়, ক্ষণপ্রভা-সরোজিনীর ঐ অঙ্গুলী হবে ; অার কাৰু নয় । যাহা হউক ( প্রকৃত অস্কুলী লক্ষ্য—নেপথ্যে কোলাহল ও বাছোছাম ) - রাজা । রাজকুমার, তোমার পরিশ্রম অতঃপর সফল । ( দমনিকা ও ক্ষণপ্রভার প্রবেশ । ) তনয়ে, আর রোদন করে না । এই রাজপুত্র তোমার স্বামী বটে । তোমাদের প্রণয়ের কাহিনী বিচিত্র । ( রাজকুমারীকে হাতে হাতে সমর্পণ.)