পাতা:রত্নাবলী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাস-নাম এক অবধূত আসিয়াছেন। রাজা, উহার নিকট এক অতি আশ্চৰ্য্য দোহদ শিথিয়াছেন । শুদ্বারা, আজি, তাহার নব মালিকায় অক্ষাল-পুষ্পে শোভিত্ত করবেন। এই সংবাদ জানিতে রাণী আযায় পঠাইয়া ছিলেন । জানিয়া, অন্তঃপুরে বাইতেছি। তুমি কোথায় যাইজেছ ? সুসংগত বলিল, সাগরিকার অন্বেষণ করিতে। নিপুণিকা কহিল, আমি উiহারে কদলীগৃহ প্রবেশ করিতে দেখিয়াছি । হাতে একটা বৰ্ত্তিক ও একখান চিত্র-ফলক আছে । অতএব, সখি ! ভুমি সেইখনেই যাও ; উাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবে । বড় ব্যস্ত অাছি ; এখন আমিও রাণীর নিকটে চলিলাম । এই বলিয়া, চলিয়া সুসংগতাও কদলীকুঞ্জ-অভিমুখে চলিল । সাগরিক, কদলীগৃহে প্রবিষ্টা, বিরহ-বিধুরী, স্মরশরে জঞ্জারভাঙ্গী ও গলদশ্র-লোচনা হইয়া, চিত্র-কলক হস্তে করিয়া, মৰ্মে-মনে বলিতে লাগিলেন,হে হৃদয়! ক্ষান্ত হও,-ক্ষান্ত হও ধৈর্য্য ধর। এত আকুল হইলে কি হইবে ? বল । এ, তোমার ভ্রম ও বিফল শ্রম । তুমি কি জান না, দুরাশী, কোথায় ফলবতী হয় । সে, কেবল অশেষ ক্লেশ দিত্তে থাকে, এইমাত্র । আর, দেখ, যে ব্যক্তি একবার দৃষ্টিপথে পতিত্ব হওয়াতেই ত্তোমীর সন্তাপ ও অনুতাপ এত বাড়িতেছে ; পুনৰ্ব্বার তুমি তাহারে দেখিতে বাসন কর ; এ, তোমার আশ্চর্য মুঢ়তা অয়ি নৃশংস হৃদয় ! তুমি জন্মাবধি সহ-সম্বৰ্দ্ধিত এই অনাথ অবলাকে অনায়াসে প্রত্যাখ্যান করিয়া, দৃষ্টিমাত্রে পরিচিত এক অপর ব্যক্তির অমুগম্ভ হইতেছ, ইহাতে কি তোমার লজ্জা বোধ হয় না ? অর্থব{ তোমার দোষ কি ? ভূমি ছৰ্দান্ত অনঙ্গের বারংবার শরাঘাত জ্বালায় পলাইভেচ্ছ। অতএব, এই-স্থলে পোড়া অনঙ্গই তিরস্কার-ভূমি । হে কুসুমায়ুধ ভুমি নিখিল স্বরস্থির বিজয়ী হইয়াও কি এই অতিঅঙ্কিঞ্চিৎকারী যৎসামান্য অবলী-জনকে প্রহার করিঙে লক্ষিত श्रेছে না! অথবা তোমার মোৰ নাই ; তুমি নিজে না।