পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

je “অজানার’ মধ্যে আত্মপরিবর্তন করিয়া এমন করিয়া চিত্তপটের বৈশিষ্ট্য সম্পাদন করে, যে সমস্তের সমবায়ে আমাদের চিত্ত বনস্পতির ন্যায় বিশিষ্টরূপে ও লাবণ্যে জৈব প্রক্রিয়ার ন্যায় একটি বিশিষ্ট চিত্তপ্রক্রিয়ায় চিত্তজগতের আহার্য্য সামগ্রী সংগ্ৰহ করিয়া বিশিষ্টরসে ও ভোগে প্রচুর হইয়া আপন চিত্তলীলার জীবনযাত্রা সম্পাদন করে । চিত্তের এই যে সমগ্র ও বিশিষ্ট রূপ তাহাই কবিপ্রেরণা, কাব্যস্থষ্টি ও কাব্যোপভোগের মূল। এই সমগ্র-পুরুষটি তাহার জ্ঞান, ইচ্ছ, প্রবৃত্তি, স্বথ, দুঃখ, দ্বেষ, আকর্ষণ, আত্ম-জিজ্ঞাসা, আত্মানুসন্ধিৎসা, এই সমস্তকে লইয়া যে দৃষ্টিতে রূপময় লোক জগৎ ও ভাবময় আলোক জগৎকে নিরীক্ষণ করিয়া আত্মপ্রকাশ করে তাহাই কবির আলোচন । ফুট, স্বপ্ত ও প্রস্থপ্ত সমস্ত অনুভব লইয়া যে সমগ্র-পুরুষটি তাহার জীবনের মাল্য হইতে একটি পুষ্প আনিয়া আমাদের সম্মুখে ধরে, তাহার মধ্যে তাহার জীবনের সম্পূর্ণ পরিচয় গুপ্ত হইয়া থাকে। সেই পুষ্পটি হয়ত তাঙ্গর জীবন-মাল্যের একটিমাত্র অনুভব হইতে প্রস্তুত, কিন্তু দেই অনুভবটি তাহার সমগ্র জীবনের সহিত ওতপ্রোতভাবে মিশ্রিত, একাত্মীভূত হইয়াছিল এবং সেইজন্যই সমগ্র-পুরুষের সর্বাঙ্গীন অনুভবের সহিত তাহাব যে পরিচয় রহিয়াছে, সে পরিচয় কখনই তাহা হইতে বিযুক্ত হইতে পারে না ! যে আলোচক কবির কাব্য কবির সমগ্র-পুরুষীয় অনুভবেব সহিত একান্বয়ে দেখিতে চেষ্টা করে তাহার প্রধান বিপদ এই যে কবির সমগ্র-পুরুযের সহিত তাহার অপরোক্ষ যোগ নাই। কবির নিজের পক্ষেও তাহার কাব্যসমালোচন করার বিপদ কম নহে, কারণ নিজের সমগ্র-পুরুষীয় অনুভবটি কবির কাছেও কাব্য রচনার সময় কিংবা কাব্য সমালোচনের সময় অপরোক্ষ নহে। কবির অনুভবটি যখন তাহার হৃদয়-সাগর হইতে অমৃত-পাত্র লইয়া কাব্যাকারে উদ্ভূত হয়, তখন সেই সাগরের জলে র্তাহার সমস্ত শরীর অভিষিক্ত হইয়া থাকে, এবং সাগরমাতার নাউীবন্ধনের যোগ তাহার মধ্যে থাকিয়াই যায়। সে যোগের পদ্ধতি কোনরূপে কোনও কোনও অংশে অনুমেয়, কিংবা অর্থাপত্তিগম্য কিন্তু অপরোক্ষ নহে । সেইজন্য