পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$eఆ রবি-দীপিত কবিতাতে দেখা যায় যে তিনি প্রকৃতিকে মানুষেব পৰ্য্যায়ভুক্তরূপে দেখিতেন এবং মানুষেব প্রেমেব আক্ৰন্দন ও আৰ্ত্তি, মিলন ও বিবহ, প্রকৃতিব বৃক্ষলতা, পশুপক্ষী, মেঘ, বিদ্যুৎ এই সমস্তকে ব্যাপ্ত কবিঘা বহিয়াছে, এইভাবে অমুভব কবিতেন । মামুষের মধ্যে যেমন প্রেমলীলা চলিযাছে, পশুপক্ষীব মধ্যেও সেইরূপ প্রেমচর্চা ব্যাপ্ত হইয়া বহিয়াছে এবং সমস্ত প্রকৃতিব সমস্ত ধাতু যেন মানুষেব সহিত একযোগে একটি প্রেমসম্ভোগবসকে চবিতাৰ্থ কবিয়া আনিতেছে। কালিদাসেব মেঘদূত ও ও ঋতুসংহাবে ইহাব প্রচুব নিদর্শন পাওয়া যায়। ভবভূতিব মধ্যে নবনাবীব প্রেমেব একটি স্তব দেখিতে পাই যেখানে দেহসম্ভোগ ও দেহাকর্ষণকে অতিক্রম কবিয়া একটি নিত্যানুকুল আত্মবতিব মধ্যে প্রেম আপন প্রতিষ্ঠালাভ কবিয়াছে। এই ভবভূতিব মধ্যেই আবও একটি স্তব এমনভাবে উদ্বুদ্ধ হইতে দেখা যায় যাহাতে বিবহেব আৰ্ত্তি শবীব ক্ষুধাকে অতিক্রম কবিয কেবলমাত্র অস্ত ক্ষুধা ও অন্তববেদনাব মধ্যে আপনাকে মৰ্ম্মস্পর্শী কবিয়া তুলিয়াছে, ইহার দৃষ্টান্ত পূর্বেই দেওয হইয়াছে। কবি কেশটেৰ যে কবিতাটি উদ্ধত কবিযাছি, তাহাতে দেখা যায় যে প্রেম বস্তুট কেবলমাত্র নবনীবী-সুলভ ধৰ্ম্ম নহে , তাহা সৰ্ব্ব প্রাণি-সাধাবণ বৃত্তি। নবনাবীব মধ্যে বিবহেব যে আত্তি ও পীড দেখা যায, হবিণ-হবিণীব মধ্যেও সেই একজাতীয় বিবহব্যথা মৰ্ম্মম্ভদ হইয়া উঠিতে পাবে। সংস্কৃত সাহিত্যে দেহজ আকর্ষণেব অতি বাহুল্য থাকিলেও অন্ততঃ কোন কোন কবিব মধ্যে সেই অাকর্ষণ তাহাব দেহসীমাকে অতিক্রম কবিয়া সার্বভৌম অস্তলোকের মধ্যে আপনাব পরিচয় দিয়াছে। কিন্তু যুগল নরনাবীব প্রতিব মধ্যে যে সমস্ত বিশ্বেব প্রতিবস উচ্ছসিত হইয়া উঠিতে পাবে এ কথা স্পষ্টভাবে সংস্কৃত সাহিত্যে কোথাও উল্লিখিত হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না । বৈষ্ণব সহজিয়াদেব মধ্যে যে সাধন পদ্ধতি প্রচলিত আছে তাহাব তাৎপৰ্য্য এই যে স্ত্রীপুরুষের মধ্যে যে সহজ প্রতি বহিয়াছে তাহ যখন বহিরঙ্গ কামেব দেহাভিলাষকে অতিক্রম কবে তখন মানুষের মধ্যে মামুষেব অস্তবঙ্গ স্বরূপ রূপে