পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা "ל לל স্পনাপ্রদীপিকাতে লিখিত আছে— “অবস্থাযুগলং চাত্ৰ কাৰ্য্য-কর্তৃত্ব শদিতম্। কাৰ্য্যতাক্ষয়িণী তত্র কর্তৃত্বং পুনররক্ষয়ম।” কাৰ্য্য ও কর্তৃত্ব এই দুইটি অবস্থার মধ্যে কাৰ্য্যত ক্ষয়শীল ও কর্তৃত্বই অক্ষয় । “কাৰ্য্যোম্মুখঃ প্রযত্নে য: কেবলং সেহিত্রলুপ্যতে তস্মিংলুপ্তে বিলুপ্তোহম্মীত্যৰুধ প্রতিপদ্যতে।” বাহবস্তুতে ক্রিয়ারূপে আমাদের যে সমস্ত প্রযত্ন ব্যয়িত হর তাহা লুপ্ত হইতে পারে। কিন্তু তাহা লুপ্ত হইলে ষে আমি লুপ্ত হইলাম একথা কেবলমাত্র মূর্থে-ই মনে করে । “নতু যোহন্তমুখে ভাব: সাৰ্ব্বজ্ঞাদিগুণাস্পদ । তস্য লোপঃ কদাচিৎ স্যাদন্তস্তানুপলম্ভনাৎ ॥” দেশাদির দ্বারা অবিচ্ছিন্ন যে কাৰ্য্য তাহারই লোপ হয় কিন্তু আমাদের অস্তমুখী যে ভাব তাহাতেই আমাদের চরম 'সার্থকতা, তাহা বাহিরের দিকে প্রসারিত হয় না এবং অপর কেহ তাঁহাকে বাহির হইতে জানিতে পারে না । অথচ সে তাহার অন্তর্নিহিত সৎ-স্বরূপে সৰ্ব্বদাই বিরাজমান রহিয়াছে। এই অস্তমুখীনতাই সৰ্ব্ববিধ ভারতীয় সাধনার মূলীভূত উদেশ্ব। সেইজন্য এদেশের প্রেমসাধনাও এই অস্তমুখীনতাতেই পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। অন্তবের প্রেম বাহিরের জগতে প্রদীপ্ত হইয়া বহির্লোককে স্নিগ্ধ করিয়া, সুন্দর করিয়া চক্ষুর সম্মুখে চিত্রিত করিয়া দিবে, এবং অস্তবের প্রেম বাহিরের বিচিত্র ব্যাপারেব মধ্যে আপনাকে সার্থক করিয়া তুলিবে, ও অস্তরের প্রেমের মধ্যে বাহিরের সমস্ত আনন্দ যুগপৎ সমানীত হইবে, এই দৃষ্টি ভারতীয় দৃষ্টি নহে। সমস্ত বহির্জগতের প্রেমকে একত্র সঙ্কুচিত করিয়া তাহার দ্বারা আত্মার পরমস্ফুর্ভিকে উপলব্ধি করিব—ইহাই ভারতীয় প্রেমসাধনার অস্তরের কথা, সেইজন্য ভারতীয় প্রেমচর্চার আলোচনা করিলে দেখা যায় যে তাহার প্রথম প্রকাশ দেহজ কামে ও ইন্দ্রিয়জ প্রীতিতে। তাহার দ্বিতীয় প্রকাশ