পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆ8 রবি-দীপিতা কী ইঙ্গিতে আচম্বিতে ডাকিল লীলাভরে দুয়ার-খোলা পুরানো খেলা-ঘরে । যেখানে ব’সে সবার কাছাকাছি অজানা ভাবে অবুঝ গান একদা গাহিয়াছি । প্রাণের মাঝে ছুটে-চলার ক্ষ্যাপামি এলে ছুটি ; লাভের লোভ, ক্ষতির ক্ষোভ সকলি গেল টুটি ৷” এই আস্তর হইতে বাহিরে মুক্তি পাওয়ার এই ভাব ‘মহুয়ার প্রেমের কবিতাগুলির মধ্যে ক্রমশঃই ফুট হইয়া উঠিয়াছে। মহুয়া কাব্যের অনেকগুলি কবিতাতে প্রকৃতিই প্রেমরসের আলম্বন। অনেকগুলিতে প্রকৃতি প্রেমরসের উদ্দীপক। কিন্তু এই উদ্দীপকতার মধ্যে প্রাচীন সংস্কৃত-কবিদের কামোদ্রেকতা নাই, আছে একটি বিশুদ্ধ প্রেমজ্যোতির শিখাসঞ্চরণ। সেই শিখাসঞ্চরণ এত বিশুদ্ধ ও এত স্নিগ্ধ যে তাহাতে প্রেমের একটি নূতন জাগরণ, নূতন আস্বাদ ও নূতন প্রেরণা অনুভূত হয়। ‘মহুয়া'র কবিতাগুলির মধ্যে যে প্রেম ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহ প্রকৃতির সহিত এমনই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত যে যেন তাহ। প্রকৃতির প্রেমেরই একটি রসনিক্সান্দ। ‘অসমাপ্ত কবিতাটিতে দেখা যায় যে মনের মন্দিরের মধ্যে, তরুর তল্লুরার কলনিম্বনে, অনস্তের স্তবগানে, যে বন্দনায় চিত্ত আবর্জিত হইয়া আসে, তাহারই শুচিম্পর্শ প্রেমিকের চিত্তে জন্মজন্মান্তরের আশ্বাস আবাহন করিয়া আনিতেছে । প্রিয়তমার বক্ষের মধ্যে যে প্রেমের পূর্ণিমা সদাজাগ্রত হইয়াছিল তাহা অস্তরের মধ্যে ছিল বলিয়াই রূপ লইয়া বাহিরে ফুটিতে পারে নাই এবং প্রেমাম্পদের নিকট তাহার আত্মপরিচয় দিতে পারে নাই। কত চৈত্রমাসের রাত্রিতে, প্রচ্ছন্ন