পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্ত প্রেম—মহুয়া »ዓ9 চিত্ত ভরিয়া র’বে ক্ষণিক মিলন চির-বিচ্ছেদ কবি’ জয় ॥” ‘সবলা’ কবিতাটিতে সবল নাবী বলতেছেন— "যাব না বাসব কক্ষে বধৃবেশে বাজায়ে কিঙ্কিণী,— আমাবে প্রেমেব বীৰ্য্যে কর আশঙ্কিণী ।” পাতিব্ৰত্যের বিনম্র দীনতা বীব পতির সম্মানেব যোগ্য নহে। লজ্জার দুৰ্ব্বল আচ্ছাদন হইতে বাহিবে আসিযা সংসাবেৰ সংগ্রামেব মধ্যে দুঃসহতম কার্য্যে বীৰ্য্যেৰ ঝঞ্জাবে রণোন্মত্ত থাকিবা কেবলমাত্র মাথাব অবগুণ্ঠন খুলিয়া তিনি প্রিয়কে এই কথা বলিয়া যাইতে চান "একমাত্র তুমিই আমাব” । এই যে বীৰ্য্যেব আবাহন “আবিবাবিৰ্মএপি” এই যে নাবীব অস্তবেব জগিবণ ইতাব মধ্যেই নাবীব যথার্থ নাবীত্ব। সেষ্ট নাবীত্বের যথার্থ স্থান হইতে বিচ্যুত হইয়া দেহসৌখ্যের মিলন-সম্ভোগেব হীনতাব মধ্যে নাবী এাহাব মিলনকে স্বাগত সম্ভাষণ করিতে চান না । তাহাব বক্তে যে কন্দ্ৰ বীণা জাগ্রত হইথাছে তাহাব সঙ্গীতের মধ্য দিয়া তাহাব যে মাহাত্ম্য ও মহিমা নিঝবিত হইয়া আসিতেছে তাহাকেই তিনি প্রেমের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহাবকপে প্রিয়তমেব নিকট অৰ্ঘ্য দিতে চান। সেইটুকু হইলেই তিনি সস্তুষ্ট, তাবপব— “সময় ফুবায় যদি, তবে তা’র পবে শান্ত হোক সে নিঝর নৈঃশব্যের নিস্তব্ধ সাগরে—” । পুরুষও তেমনি নারীকে প্রণাম কবিয়া বলিতেছেন, “সেবা কক্ষে করি না আহবান” যখন তিনি মধ্যাহৃতপ্ত দুর্গম পথে অনিদ্রায় রজনী যাপন কবিবেন, শুষ্ক বাক্য-বালুকার ঘুর্ণাপাকে যখন তিনি আচ্ছন্ন হইয়া পড়িবেন, তখন তাহার নিষ্কলুষ কল্যাণী দয়িত আসিয়া তাহাকে মধুর শুশ্রুষায় সঙ্গীবিত করিবেন, ইহা তিনি চান না । তিনি চান,