পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী ১৭ কোকিল ও মধুকরের স্তুতিগানের মধ্যে মহারাজের আবার নূতন ক’রে যৌবরাজ্যের অভিষেক আরম্ভ হয়ে গেছে। এমনি ক’রে ঋতুর পর ঋতুর যে খেলা চিরকাল থেকে চলে আসচে, তার থেকে রূপের বিকাশকে কেবলই দেখতে থাকি রূপাস্তরের মধ্যে। যাকে এক দিক্‌ থেকে দেখি হারানো, তাকেই অপর দিক থেকে দেখি পাওয়া ! পাওয়ার আরম্ভেই হারানো উপস্থিত হয়, আবার সেই হারানোর পরিসমাপ্তিতেই পাওয়ার সম্পূর্ণতা। বসন্তের গুপ্ত আবির্ভাবের নামই শীত । পুরোণেকে যে আমরা হারাই, নূতনকে যে আমরা পাই, এ দুটি একই স্থষ্টির নৃত্যের দুই পদবিক্ষেপ । কিন্তু রূপের প্রকাশ, রূপের লয় ও রূপান্তরের উদয় এ তিনকে আমরা কোনও একটা প্রাণক্রিয়ার মধ্যে এক ক’রে দেখি না বলেই রূপ ও ধ্বংসটুকুই আমাদের চোখে পড়ে, বিলয়ের মধ্যে দিয়ে যে বিকাশেরই কাজ চলচে, এ কথা আমরা বুঝতে পারি না। সমস্ত প্রকৃতির প্রতিদিনের পরিণামের মধ্যে এই ষে ইঙ্গিতটি জেগে উঠছে যে পুরোণোর ভিতর দিয়ে হারিয়ে ফেলেই আমরা নূতনকে নূতন করে পেয়ে থাকি, এই কথাটিই ফাল্গুনীর বসন্তরাগিণীর তারে রী রী করে বাজচে । অনেক দিন পূৰ্ব্বে কবি একবার জন্ম ও মৃত্যুর দেওয়া নেওয়ার লুকোচুরি প্রত্যক্ষ ক'রে বলেছিলেন— চিরকাল একি লীলা গো অনন্ত কলরোল ! অশ্রুত কোন গানের ছন্দে অদ্ভুত এই দোল । ছলিছ গো দোলা দিতেছ। পলকে আলোকে তুলিছ, পলকে আঁধারে টানিয়া নিতেছ। সমূখে যখন আসি তখন পুলকে হাসি,