পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কনী ミの এইত গেল ফাল্গুনীর গীতিকথা । তার পরে তার নাট্যকথা। শিল্পে, সাহিত্যে, সমাজে, চারিদিকে মানুষের যৌবন যেমন উন্মেষিত হ’য়ে ওঠে, তেমনি আমরা দেখতে পাই যে ফাল্গুনীর নাট্যাংশে কতকগুলি লোক বসস্তসমাগমে উৎসবময় হয়েছে। সে উৎসব অনিমিত্ত উৎসব, খেলার উৎসব, জীবনের উৎসব, আনন্দের উৎসব। তার কোনও হেতু নেই তাই তার কোনও বাধনও নেই, সে সব করতে পারে ; কোথাও তাকে ঠেকিয়ে রাখবার জো নেই। যৌবনের জীবনীশক্তি যে মানুষের মনোবৃত্তিকে চারিদিকে উৎসবময় করে তোলে, সর্দারকে দেখে পুনঃ পুনঃ আমাদের সেই কথা মনে হয়। মানবের বহুমুখী বিবিধ উদ্যোগের মধ্যে তার যৌবন উচ্ছসিত হয়ে চিরকাল ধরে তাকে বাৰ্দ্ধক্যের দিকে নিয়ে আসে। সকলেই এই বাৰ্দ্ধক্য ও মৃত্যুকেই ভয় করে, অথচ সকলেই তার খোজ করছে। কে গো ঐ জর মৃত্যু। কে সেই “গুহাহিতং গহ্বরেষ্টং পুরাণং ” নচিকেতা একেবারে তাকে মৃত্যুর বাড়ী গিয়ে খোজ করেছিল, আর সমস্ত সংসারের যৌবন আজও সেই খোজে চলেছে। এই কথাটি চারটি অংশে বিবৃত। (১) সূত্রপাত (২) সন্ধান (৩) সন্দেহ (৪) সমাপ্তি। “সন্দেহ"র মধ্যে এই অনিমিত্ত সন্ধানের ভিতরেও জরামৃত্যু সম্বন্ধে মানুষের চিরন্তন সন্দেহটি পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। "সমাপ্তি’র মধ্যে বাউলের উপদেশ মতে চলতে চলতে চন্দ্ৰহাস মৃত্যুগুহার মধ্যে প্রবেশ করে সেই অন্ধকারের মধ্যে গিয়ে এই জগতের সেই চিরবাৰ্দ্ধক্যকে ধরে ফেল্পে, আর যেই ধরলে অমনি দেখতে পেলে তিনি বালক, শুধু বালক নয় র্যার প্রেরণায় তারা এই সন্ধানে বেরিয়েছে, তিনি হচ্ছেন সেই সর্দার। যে যৌবন সমস্ত প্রাণনার মূলে, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পুনঃ পুনঃ সেই যৌবনই ফিরে ফিরে আসছে। তাই মানুষের সকল বৃত্তির মধ্যে সব সময়ই দেখতে পাই যে যৌবন খেলছে, মুহূর্তের জন্য যে সে আচ্ছন্ন হয়ে আসে সেটা পটাস্তরের বিশ্রাম মাত্র। পাব বলেই আমরা হারাই, এবং হারানোর মধ্য দিয়েই পাই। প্রকৃতির ও মানুষের ভিতরকার গৃঢ় মৰ্ম্মকথাটি একটি উপমার মধ্যে ব্যক্ত