পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Фо রবি-দীপিত এই সম্বন্ধে কিছু কিছু লিতে অহুবোধ করিয়াছেন। যখন যতটুকু সুযোগ পাইয়াছি বলিতে চেষ্টা করিয়াড়ি । আজ এই প্রবন্ধে বিলাকা সম্বন্ধে মোটামুটিভাবে একটা আলোচনা করিব। কবির মৰ্ম্মকথা উদঘাটন করিতে পারিব কি না জানি না। তবে আমি নিজে যতটুকু বুঝিতে পারিয়াছি বলিয়া মনে করি তাহাই বলিতে চেষ্টা করিব । বিলাকা’ গ্রন্থখানি ৪৬টি পৃথক পৃথক কবিতার সঞ্চয়ন । ইহাদের মধ্যে কবি প্রথম আটটি কবিতার নাম দিয়াছেন, তাহার পর নাম দেন নাই। নাম দিলে নাম দেওয়া যাইত না—এমন কথা বলা যায় না ; তবে হয়ত তাহাদের সমষ্টিগত তাৎপৰ্য্যটি ক্ষুন্ন হইত, একথা মনে করিলে দোষ হয় না। বিলাকp নামটিব সহিত সংস্কৃত সাহিত্যে আমরা সুপরিচিত । বলাকারা যখন আকাশে আবদ্ধমালা হইয়া দুলিতে দুলিতে ব্যোমমার্গে মানস-সরোবরের দিকে উড্ডীন হয় তখন তাহাদের প্রত্যেকের পৃথক ও স্বতন্ত্র মূৰ্ত্তি আমাদের কাছে তেমন প্রতিভাত হয় না, যেমন প্রতিভাত হয় তাহাদের গতিভঙ্গী, গতিচ্ছন্দ । বলাকার কবিতাগুলির প্রত্যেকটির হয়ত একটি স্বতন্ত্র তাৎপৰ্য্য আছে, কিন্তু তাহা অপেক্ষাও তাহাদের ফলগুলিকে লইয়া আরও একটি স্বতন্ত্র তাৎপৰ্য্য স্ফুট হইয়া উঠিয়াছে। বলাকার অধিকাংশ কবিতার মধ্য দিয়া এই সমুহাত্মক তাৎপর্ঘ্যের এক একটি বিশেষ প্রকাশ, বিশেষ ভঙ্গী ফুটয়া উঠিয়াছে। বোধ হয় সেই জন্যই নাম দিতে দিতে কবি সজাগ হইল্প নাম বন্ধ করিয়া প্রক্রম ভঙ্গ করিয়াছিলেন । নামের মধ্যে যাহা বাধা থাকে তাহার স্বতন্ত্রতা নামের আবরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেখানে প্রত্যেকটি কবিতার মধ্য দিয়া একটি চঞ্চল গতি-নৃত্যের পাদবিক্ষেপ স্থচিত হয় সেখানে সেই পাদবিক্ষেপকেই সমস্ত নৃত্যের মধ্যে এক করিয়া দেখিলে তাহার তাৎপৰ্য্য বুঝা যায়। মৃত্যচ্ছন্দ इहेड পৃথক করিয়া তাহাদের প্রত্যেককে দেখিতে গেলে সমূদ্বয়ের সহিত তাহার যে সামঞ্জস্তের সম্বন্ধ রহিয়াছে সেদিকে আমাদের দৃষ্ট না পড়িতে পারে। দোদুল্যমান মালার ন্যায় বলাকাপঙক্তি যখন আকাশ দিয়া উড়িয়া যায় তখন