পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4b" রবি-দীপিতা সম্মুখের বাণী নিকৃ তোরে টানি মহাম্রোতে পশ্চাতের কোলাহল হতে অতল আঁধারে—অকূল আলোতে।” এই কবিতাটি পড়িলে দেখা যায় যে-স্বজনীশক্তি এই জগৎ রচনা করিয়াছে তাহা একটি প্রাণস্রোত, একটি প্রাণবেগ মাত্ৰ, a vital impulse ! যে শক্তির নিজের কোন রূপ নাই বস্তু নাই অথচ তাহা হইতে নিরস্তর রূপবস্তু ফুটিয়া উঠিতেছে। তাহার শব্দ নাই, কোন অন্তহীন দূরের আহানে সে ছুটিয়া চলিয়াছে, তাহার গতিবেগে সে যাহা উৎপন্ন করিতেছে তাহার দিকে তাহার দৃষ্টি নাই, মায়া নাই, মোহ নাই। সে ঘুর্ণর প্রবাহিণী সমস্ত ঘূর্ণীতে আপনাকে নিরস্তর প্রকাশ করিয়া চলিয়াছে। প্রকাশের ফলে তাহার লোভ নাই, প্রকাশের বিকাশে তাহার আনন্দ। যদি এই ক্রিয়াশক্তি, এই স্বজনী শক্তি মুহূর্বের জন্য বন্ধ হইত তবে বিশ্ব মৃতজড়পুঞ্জের সমাবেশে মহাকলুষতার স্বষ্টি করিত। কিন্তু শক্তির .নিত্য-মন্দাকিনী মৃত্যুস্বানে বিশ্বের জীবনকে নিরস্তর শুচি করিয়া তুলিতেছে। মৃত্যুকে জীবনের মধ্যে স্থান দিয়াছে বলিয়াই মৃত্যুর মধ্যে আমরা মৃত্যুকে পাই না, চিরনবীনের অমৃতের মধ্যে মৃত্যুর যথার্থক্কপ প্রত্যক্ষ করি। এই জাতীয় আর একটি কবিতাতে (১৬) কবি বলিয়াছেন ষে মানুষ যখন তাহার লক্ষ লক্ষ অলক্ষ্য ভাবনা ও অসংখ্য কামনাকে আশ্রয় করিয়া বাহিরের জড়পদার্থের মধ্যে কাষ্ঠ লোষ্ট্রের মধ্যে আপনাকে আঁকড়াইয়া ধরিতে চায় তখনই তাহাকে জড়পদার্থের কঠিন নিপীড়নে নিগৃহীত হইতে হয়। মানুষের প্রকাও প্রকাগু অট্টালিকা, কলকারখানা প্রভৃতি যাহা কিছু আমরা চারিদিকে দেখিতে পাই তাহাই মামুষের জড়পরিণতি। অতীতের কত অশ্রুতবাণী আমাদের অস্তরের মধ্য দিয়া উড়িয়া চলিয়াছে। নীরব কোলাহলে চিত্তগুহা ছাড়িয়া কোথায় কোন অদৃপ্তের দিকে উৰ্দ্ধশ্বাসে চুটিয়াছে তাহাদের কোনটিকে