পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা WაŠ) “হে অজানা, অজানা স্বর নব বাজাও আমার ব্যথার বঁাশিতে, 凝 兼 導 来源 কোন কালে হয়নি যারে দেখা—ওগো তারি বিরহে এমন করে ডাক দিয়েচে, ঘরে কে রহে ?” বাহিরের জগতের দিকে চাহিয়া কবি বলিতেছেন যে, চাপা বকুল প্রভৃতির শাখায় শাখায় তাদের কোলাহল, গন্ধে ও রংএ অরণ্যময় ছাইয়া গিয়াছে, অথচ এই ফুটিবার সঙ্গে সঙ্গেই তার ঝরিয়া পড়িতেছে। কবে কোন বসন্ত আসিবে তাহারই যেন দূর পায়ের শব্দ শুনিয়া তাহাকে দূর হইতে বরণ করিবার জন্য, তাহাকে স্থান ছাড়িয়া দিবার জন্য, ফুলেরা দলে দলে মরণসাগরে ঝাপ দিতেছে। চাপা বকুল ফোটে বর্ষায়, কাজেই বসন্তের আসিতে দেরী ; সুতরাং আপাতত: মনে হইতে পারে যে একটা হিসাবের ভূল হইয়াছে। কিন্তু এই বসস্তের আগমনের বিরহ বৃক্ষশরীরে অনেক দিন হইতেই জাগিয়াছে এবং ঋতুতে ঋতুতে ফুলের ফোটা-ঝরার মধ্য দিয়া বসন্তের আগমনের বাসর-শয়নের রচনা চলিতেছে। দূর হইতে যেন ফুলেরা পায়ের শব্দে কাহার আগমন অনুভব করিয়াছে, চোখে না দেখিয়াই তাহারা ষে যার বেঁটার বাধন খুলিয়া ফেলিয়া বৃক্ষের জীবনকে আপনাদের অনাবশুক ভার হইতে মুক্তি দিয়াছে। "ওরে ক্ষ্যাপা, ওরে হিসাবভোলা, দূর হতে তার পায়ের শব্দে মেতে সেই অতিথির ঢাকতে পথের ধূলা তোরা আপন মরণ দিলি পেতে । না দেখে না শুনেই তোদের পড়লো বাধন খসে’ চোখের দেখার অপেক্ষাতে রইলিনে আর ব’লে।”