পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা לסיל বলিয়া । আমরা দেখিতে পাই মগ্নতরী হতভাগ্যের ন্যায় আমাদের এই হৃদয় ক্ষণস্থায়ী যুগ-বিশেষের অভ্যাস ও শিক্ষা নামক ভাসমান কাষ্ঠখও আশ্রয় করিয়া ভার্সিয়া বেড়াইতেছে না, অসীম মানব-হৃদয়ের মধ্যে ইহার নীড় প্রতিষ্ঠিত । ইহা দেখিলে আমাদের হৃদয়ের উপরে আমাদের বিশ্বাস জন্মে। আমরা তখন যুগের সহিত যুগান্তরের গ্রন্থনস্বত্র দেখিতে পাই । আমার এই হৃদয়ের পানীয় এ কি আমার নিজেরই হৃদয়স্থিত সঙ্কীর্ণ কুপের পঙ্ক হইতে উখিত, না অভ্ৰভেদী মানব-হৃদয়ের গঙ্গোত্রী শিখরনিঃস্থত, সুদীর্ঘ অতীত কালের শু্যামল ক্ষেত্রের মধ্য দিয়া প্রবাহিত বিশ্বসাধারণের সেবনীয় স্রোতস্বিনীর জল ! যদি কোন স্বষোগে জানিতে পারি শেষোক্তটিই সত্য, তবে হৃদয় কি প্রসন্ন হয় ! প্রাচীন কবিতার মধ্যে আমাদিগের হৃদয়ের ঐক্য দেখিতে পাইলে আমাদের হৃদয় সেই প্রসন্নতা লাভ করে। অতীত কালের প্রবাহধারা যে হৃদয়ে আসিয়া শুকাইয়া যায় সে হৃদয় কি মরুভূমি ! ঐ বুঝি এসেছি বৃন্দাবন । অামায় বলে দে রে নিতাইধন ॥ ওরে বৃন্দাবনের পশুপার্থীর রব শুনি না কি কারণ ! ওরে বংশিবট, অক্ষয়বট, কোথা রে তমাল বন ! ওরে বৃন্দাবনের তরুলতা শুকায়েছে কি কারণ ! ওরে শু্যামকুণ্ড, রাধাকুও, কোথা গিরি গোবৰ্দ্ধন ! কেন এ বিলাপ ! এ বৃন্দাবনের মধ্যে সে বৃন্দাবন নাই বলিয়া । বৰ্ত্তমানের সহিত অতীতের একেবারে বিচ্ছেদ হইয়াছে বলিয়া । তা যদি না হইত, যদি আজ সেই কুঞ্জের একটি লতাও দৈবাৎ চোখে পড়িত, তবে সেই ক্ষীণ লতাপাশের দ্বারা পুরাতন বৃন্দাবনের কত মাধুরী বাধা দেখিতাম । সমস্যা । আজকাল প্রায় এমন দেখা যায় অনেক বিষয়ে অনেক রকম মত উঠিয়াছে, কিন্তু কাজের সঙ্গে তাহার মিল হয় না। এমনও দেখা যায় অল্প বয়সে যাহারা পরমোৎসাহে সম্পূর্ণ নূতন করিয়া সমাজের পরিবর্তন সাধনে উদ্যোগী হইয়াছিলেন, কিঞ্চিৎ অধিক বয়সে র্তাহারাই পুরাতন প্রথা অবলম্বন করিয়া শাস্তভাবে সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ Sb'