পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیاه (ه ब्रवैौटज-ब्रछनांवलौ নিকার তেমনি কোরে বাপিয়া সরসী-’পরে পড়, লে। উগরি শুভ্ৰ ফেনরাশিভার ! মুছিতে লো অশ্রবারি এয়েছি হেথায় । তাই বলি পাপিয়ারে । গান কর স্বধাধারে নিবাইয়৷ হৃদয়ের অনলশিখায় ! ছেলেবেলাকার মত বায়ু তুই অবিরত লতার কুস্থমরাশি কর লো কম্পিত ! নদী চল ছলে স্কুলে ! পুষ্প দে হৃদয় খুলে ! নিঝর সরসীবক্ষ কর বিচলিত ! সেদিন আসিবে আর হৃদিমাঝে যাতনার রেখা নাই, প্রমোদেই পূরিত অন্তর ! ছুটাছুটি করি বনে বেড়াইব ফুল্লমনে, প্রভাতে অরুণোদয়ে উঠিব শিখর ! মালা গাথি ফুলে ফুলে জড়াইব এলোচুলে, জড়ায়ে ধরিব গিয়ে হরিণের গল ! বড় বড় দুটি আঁখি মোর মুখপানে রাখি এক দৃষ্টে চেয়ে রবে হরিণ বিহবল ৷ সেদিন গিয়েছে হা রে— বেড়াই নদীর ধারে ছায়াকুঞ্জে শুনি গিয়ে শুকদের গান ! না থাকৃ, হেথায় বসি, কি হবে কাননে পশি – শুক আর গাবে নাকে খুলিয়ে পরাণ ! সেও যে গে। ধরিয়াছে বিষাদের তান ! জুড়ায়ে হৃদয়ব্যথা দুলিবে না পুষ্পলতা, তেমন জীবন্ত ভাবে বহিবে না বায় ! প্রাণহীন যেন সবি— যেন রে নীরব ছবি— প্রাণ হারাইয়া যেন নদী বহে যায়।