পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-কাহিনী মজি স্বপনের ঘোরে হৃদয়ের খেলা থেলি যেন যায় জীবন কাটিয়া ।” নিশীথে একেল হোলে এইরূপ কত গান বিরলে গাইত কবি বসিয়া বসিয়া । স্বখ বা দুখের কথা বুকের ভিতরে যাহা দিন রাত্রি করিতেছে আলোড়িত-প্রায়, প্রকাশ না হোলে তাহা, মরমের গুরুভারে জীবন হইয়া পড়ে দারুণ ব্যথিত । কবি তার মরমের প্রণয় উচ্ছ্বাস-কথা কি করি যে প্রকাশিবে পেত না ভাবিয়া । পৃথিবীতে হেন ভাষা নাইক, মনের কথ। পারে যাঙ্গ পূর্ণভাবে করিতে প্রকাশ । ভাব যত গাঢ় হয়, প্রকাশ করিতে গিয়া কথা তত নাহি পায় খুজিয়া খুজিয়া । বিষাদ যতই হয় দারুণ অভরভেদী, অশ্রজল তত যায় শুকায়ে যেমন । মরষের ভার-সম হৃদয়ের কথাগুলি কত দিন পারে বল চাপিয়া রাখিতে ? এক দিন ধীরে ধীরে বালিকার কাছে গিয়া অশাস্ত বালক-মত কহিল কত কি ! অসংলগ্ন কথাগুলি, মরমের ভাব আরো গোলমাল করি দিল প্রকাশ না করি । কেবল অশ্রীর জলে, কেবল মুখের ভাবে পড়িল বালিকা তার মনের কি কথা ! এই কথাগুলি যেন পড়িল বালিকা ধীরে – “কত ভাল বাসি বালা কহিব কেমনে । তুমিও সদয় হোয়ে আমার সে প্রণয়ের প্রতিদান দিও বালা এই ভিক্ষা চাই ।” গড়ায়ে পড়িল ধীরে বালিকার অশ্রজল, কবির অশ্রীর সাথে মিশিল কেমন— SS